বাংলা হান্ট ডেস্ক : নির্বাচনের মুখে উত্তপ্ত বাংলা। দিকে দিকে মানুষ গর্জে উঠেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিতর্কের মাঝেই এবার প্রতিবাদের ঝাঁটা উঁচিয়ে রাস্তায় নামল গাইঘাটার (Gaighata) মহিলারা। এবারও অভিযোগের তীর তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই জমি বিবাদ দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত দেড়মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। ঘটনার ৫৬ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তারপর থেকেই দীপাবলীর মত উৎসব পালন করছেন গ্রামের অত্যাচারিত হিন্দু মানুষজন। আর এবার সেই একইরকম পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা।
সূত্রের খবর, গাইঘাটার বইকারা এলাকার বাসিন্দা বাপি সরকার অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তার উপর জোর জুলুম করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রোমোটার বিশ্বজিৎ। জানা যাচ্ছে, বাপি সরকার সদ্যই একটি বাড়ি তৈরি করেছেন। আর তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় জোর জবরদস্তি রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন প্রোমোটার তথা তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ।
আরও পড়ুন : নজরে মালদ্বীপ, এ বার লক্ষদ্বীপে যাচ্ছে ‘জটায়ু’, তৈরি হবে নয়া নৌ ঘাঁটি
তবে কেবল হুমকিই নয়, এইদিন বাপি এবং তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে বুধবার বিকেলে তার বাড়িতে হানা দেয় বিশ্বজিৎ-র দলবল। বাকবিতণ্ডা বাড়তেই প্রতিবেশীরাও এসে জড়ো হয় সেখানে। দুপক্ষের মধ্যে চরম বচসাও চলে। বাপির স্ত্রী জানিয়েছে, বিশ্বজিৎ ও তার দলবল ঐ এলাকাকে সন্দেশখালিতে পরিণত করার হুমকি দেন। তারপরেই সকলের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ঢাকায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মৃত কমপক্ষে ৪৩, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি একাধিক
সেই রাতেই গাইঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানায় বাপির পরিবার। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মহিলারা। একজন বলেন, ‘এলাকা সন্দেশখালি করতে এলে ঝেঁটিয়ে বিদায় করব।’ স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাপির স্ত্রীকে সাদা থান পরানোরও হুমকি দেওয়া হয়। সমস্ত ঘটনা শোনার পর আতঙ্কিত পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির বক্তব্য, ‘বিশ্বজিৎ তৃণমূল নেতা ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে, সন্দেশখালি করার হুমকি দিয়েছে। আমরা তা হতে দেব না। আমরা ওদের বিদায় করব।’ যদিও এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন গাইঘাটার জেলা পরিষদের সদস্য তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বজিৎ-র সাথে তৃণমূলের সরাসরি সম্পর্ক নেই। তার স্ত্রী দলের সদস্য। তৃণমূলে দুস্কৃতিদের স্থান নেই।