রেশনেও দুর্নীতি! ক্ষমতার জোরে স্বামীকে ডিলারশিপ দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার সামনে এল রাজ্য সরকারের রেশন দুর্নীতি। পদের জোর খাটিয়ে নিজের স্বামীকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এল এক তৃণমূল নেত্রীর (TMC Leader) বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভীন নিজের পদকে ব্যবহার করে নিজের স্বামী আফসার আলিকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসকের খাদ্য দফতরে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জেলার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক। এবার অভিযোগ ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি দাবি করে, তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এখানে টাকা ছাড়া আর কিছুই হয় না। তবে এই বিষয়ে সাফাই দিয়েছে তৃণমূলও। শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনিয়ম প্রমাণ হলে বাতিল হবে ওই ব্যক্তির ডিলারশিপ।

জানা যাচ্ছে, রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর এলাকায় রেশন ডিলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি বের হয়। নিয়োগ করা হয় রেশন ডিলার। আর এই নিয়োগ ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই এলাকার রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন রতুয়া-১ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রুকসানা পারভীনের স্বামী আফসার আলি।

এরপরই অভিযোগ ওঠে নিয়ম না মেনেই তাঁকে রেশন ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় জেলা খাদ্য দফতর ও মালদা জেলাশাসকের কাছে। এমনকি ইমেল মারফত জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। রেশন ডিলারশিপের জন্য আবেদনকারী শেখ আতাউরের অভিযোগ করেন, ‘সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়নি। প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বামীকে ডিলারশিপ পাইয়ে দেন ওই তৃণমূল নেত্রী। সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাব।’

তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভীন। তিনি বলেন, ‘আমি ২০২২-এ এই পদ পেয়েছি, কিন্তু রেশন ডিলারশিপের প্রক্রিয়া চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই।’ এই বিষয়ে দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির স্টাফ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই টাকা ছাড়া তৃণমূলে কোনও কাজই হচ্ছে না। চাকরি থেকে রেশন ডিলারশিপ সবই বিক্রি হচ্ছে।’ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী অবশ্য কড়া ভাষায় জানান, ‘দলবল বলে কোনও কথা নেই, অনিয়ম প্রমাণ হলে ডিলারশিপ বাতিল হবে।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর