বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরেই এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। তাও একবার নয়, পরপর তিনদিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হয়েছে তাঁকে। তাছাড়াও কোর্ট এবং অন্যান্য ধকল তো ছিলই। এই দিন কয়েক কলকাতায় এমএলএ হোস্টেলেই ছিলেন মন্ত্রী। অবশেষে প্রায় দিন ছয়েক পর আবারও মেখলিগঞ্জ পৌঁছালেন তিনি। সেখানে পা রাখা মাত্র রীতিমতো পুষ্পবৃষ্টি করে পরেশ অধিকারীকে বরণ করে নিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে মন্ত্রী এবং মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিও খুইয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। আদালতের কাছে তাঁকে ফেরত দিতে হবে বেতন বাবদ পাওয়া প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার কাছাকাছি। লাগাতার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে পরেশ অধিকারীকে। সব মিলিয়ে পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে বড় রকমের অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল।
কিন্তু এর মধ্যেই কার্যতই অন্য ছবি দেখা গেল মেখলিগঞ্জে। দিন ছয়েক কলকাতা বাসের পর পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জ ফেরাকে ঘিরে যেন উৎসবের আবহ সেখানে। মঙ্গলবারই বাগডোগরা থেকে যখন সোজা মেখলিগঞ্জ পৌঁছান পরেশ অধিকারী তখন নেতারা রীতিমতো ফুল চন্দন নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্য। তিনি মেখলিগঞ্জে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই পুষ্পবৃষ্টি করতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এরপর যেন কিছুই হয়নি এহেন ভাব নিয়ে নিজের কেন্দ্র এবং এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রীমশাই। এদিন হলদিবাড়ির দুর্গামণ্ডপের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় কার্যালয় হয়ে বাড়ি ফেরেন পরেশ অধিকারী।
‘পরেশ ঘরে ফিরলেও’ পুরো বিষয়টিকে ঘিরে একটা বড় রকমের দোলাচল এবং দোটানা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে। সিবিআই ছুঁলে আঠেরো ঘা, এই তত্ত্বকে মনে রেখেই ঠিক কতখানি ঘনিষ্ঠতা করা উচিত পরেশ অধিকারীর সঙ্গে তা যেন বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। যদিও সূত্রের খবর আগের মতই আবার সব জায়গায় যাওয়ার এবং সব কাজেই অংশ নেওয়ার কথা কর্মীদের জানিয়েছেন পরেশ অধিকারী। তবুও এই দোলাচলের মরশুমে যে জল মেপে তবেই মাঠে নামতে চাইছেন স্থানীয় নেতা কর্মীরা তা বলাই বাহুল্য।