রাজ্য কমিটি থেকে বাদ যেতেই ছাড়লেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, রাতারাতি সায়ন্তন বসুর বাড়িতে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে হটকেক নিউজ অর্থাৎ সংবাদ শিরোনামে রয়েছে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। বুধবারই প্রকাশিত হয় বিজেপি-র রাজ্য কমিটির তালিকা। আর সেখানে দেখা যায়, দীর্ঘ দিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার পরও বর্তমান রাজ্য কমিটির তালিকাই তাঁর নামই নেই! আর এরপরই রাতে বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে। যা নিয়ে বর্তমান সময়ে তোলপাড় চলছে বঙ্গরাজনীতির অন্দরে।

কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরদিন বুধবার বিজেপি-র রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভের সূত্রপাত বিজেপির অন্দরে। পুরনো মুখ বাদ দিয়ে সেই জায়গায় স্থান পেল অনেক নতুন মুখ। যার ফলে ক্ষুব্ধ দলের দীর্ঘ দিনের নেতারা।

Sayantan Basu

যেমন- দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর, কমিটিতে তাঁর নামই আর দেখা গেল না। যার ফলে দলের প্রতি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই বেরিয়ে যান সায়ন্তন বসু। আর তারপরই তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের এক বর্তমান বিধায়ক এবং এক জন প্রাক্তন বিধায়ককে দেখা যায়। যদিও তাঁরা এই সাক্ষাতকে নিছক সৌজন্য বলে দাবি করলেও, এবিষয়ে সায়ন্তন বসুর সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করা যায়নি।

তালিকায় দেখা গিয়েছে, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দীপক বর্মণ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়রা। দুই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সঞ্জয় সিংহ এবং রথীন্দ্র বসুকে বাদ দিয়ে করা হয়েছে সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন সহ-সভাপতির পদে থাকা জয়প্রকাশ মজুমদারকে দলের মুখপাত্র করা হলেও, সহ-সভাপতির পদ থেকে বাদ গেলেন প্রবীণ নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারিরা।

ইন্দ্রনীল খাঁকে দেওয়া হয়েছে যুব শাখার সভাপতি। কার্যালয় সচিবের পদ থেকে দীপাঞ্জন গুহকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে আনা হয় প্রণয় রায়কে। কমিটিতে কিছু অদলবদল করায় দলের পুরনো সদস্যদের মধ্যে কিছুটা মনমালিন্য দেখা দিয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর