২০০ পেরিয়ে জয়ের পথে তৃণমূল, নন্দীগ্রামে এখনও এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অন্য রবিবারগুলির থেকে এদিনটা ছিল একটু হলেও আলাদা।রাজ্যে ২৯৪ টি বিধানসভার আসন থাকলেও আজ রবিবার ভোট গণনা ছিল ২৯২টি আসনে। শুরুতে দেখা গেছিল সমানে সমানে লড়াই করছে দুই তৃণমূল ও বিজেপি। এমনকী এক এক সময়ে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে ততই হাসি চওড়া হয়েছে শাসক দলের। সকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে বিজেপির দ্বিগুণের বেশি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে তারা, অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে ৮০টি আসনের আশেপাশে।

২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে শোচনীয় ফলাফল হয়েছিল তৃণমূলের। এবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মরিয়া ছিল তারা। এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, ড্যামেজ কন্ট্রোলে বেশ খানিকটা সফল হয়েছে তারা। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় আশাতীতভাবে এগিয়ে আছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গেও একই ধারা। সেখানেও ট্রেন্ড তৃণমূলের দিকেই।হাওড়া ও হুগলি থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।কিন্তু তৃণমূল অপ্রতিরোধ্য হাওড়া ও হুগলি, দুই জায়গাতেই। শহর কলকাতায় ১১টি আসনের ১১টিই দখল করার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল শাসক দল। সেখানেও এগিয়ে ঘাসফুল শিবির।

রাজ্যবাসী তো বটেই গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের দিকে। কেননা ওই আসনে রাজ্য রাজনীতির দুই মহারথী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী লড়ছেন। দল এগিয়ে থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পিছিয়ে রয়েছেন। নন্দীগ্রামের পাশাপাশি হাওড়ার ডোমজুড় আসনের ফলাফল নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। ওই আসনে বিজেপির হয়ে লড়ছেন আর এক রাজনৈতিক ডিগবাজি খাওয়া নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে লড়ছেন বঙ্গের আর এক পোড়খাওয়া নেতা মুকুল রায়। সরাসরি ভোটে না জেতার শাপমুক্ত হতে পারেন কিনা তিনি তার দিকেও নজর থাকছে।


Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর