নিজস্ব প্রতিনিধি,বোলপুর,বীরভূমঃ ২০১১-১২ অর্থবর্ষে ‘জল ধরো জল ভরো’ অভিযানের সূচনা করা হয়। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জলের যথাযথ সংরক্ষণ করা। কিন্তু এই অভিযান কে অমান্য করে জলাধার-এর বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেওয়ার অভিযােগে উঠল বোলপুর পুরসভার অন্তর্গত ৪ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরার নির্দেশে। তৎকালীন লােকসভার অধ্যক্ষ তথা বােলপুরের সাংসদ সােমনাথ
ছবিঃ ভাঙার কাজ চলছে।
চট্টোপাধ্যায়ের অর্থানুকূল্যে বোলপুরে অবস্থিত চিত্রা মোড়ে এই জলাধারটি তৈরি হয়। এই জলাধারটি বােলপুর পুরসভা রক্ষণাবেক্ষণ করলেও সংস্কারের অভাবে জলধারটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। শহর জুড়ে যখন পানীয় জলের সংকট ঠিক তখনই জলাধার ভেঙ্গে বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনের বোর্ড বসানোর ব্যবস্থা করায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বাসযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
ছবিঃ ভেঙে ফেলা হয়েছে জলাধার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে,বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনের জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই এই জলাধারটি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরার নির্দেশে। চিত্রা মোড়ে এই জলাধারটির থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিত্য যাত্রীরা জলপান করেন। এমন ঘটনার জন্য ওরা বিক্ষোভ-এ সামিল হন। এই বিক্ষোভের জেরে ভাঙার কাজ থমকে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আমরা এই জলাধার থেকেই জল পান করি। এটার গায়ে অনেক শ্যাওলা জমেছে। এই জলাধার টি যদি না ভেঙ্গে বরং সংস্কার করে তাহলে আমরা উপকৃত হয়।”
এক বাসযাত্রী জানান, “সাধারণ মানুষ এইখান থেকেই জলপান করে। তবে এটা না ভেঙ্গে রাখা হলে আমরা উপকৃত হয়।”
বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস জানান, ‘আমি এইখানে এসে দেখলাম সোমনাথ বাবুর আমলে তৈরি করা জলাধারটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এটি তো সংস্কার হয়নি তাই এটি এখন বেহাল দশায় রয়েছে। এখন গোটা দেশ জুড়ে জল ধরো জল ভরো অভিযান চলছে সেটাকে অমান্য করে, জলাধারটিকে ভেঙ্গে বিজ্ঞাপন হোর্ডিং লাগাবে এটাই বর্তমান শাসকদলের কার্যকলাপ।’
ছবিঃ বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস।
এপ্রসঙ্গে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুশান্ত ভকত বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
তবে এই বিষয়ে কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা কিছু মন্তব্য করতে চাইনি।