দলীয় নির্দেশ না মেনে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের জের, বাবা-ছেলেকে কড়া চিঠি তৃণমূলের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক সময় পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সম্পর্ক ছিল সর্বজনবিদিত। বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) এবং ছেলে শুভেন্দু ও দিব্যেন্দু অধিকারীরা সেই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করে চলতেন। তবে মাঝের সময় বদলেছে রাজনীতির প্রেক্ষাপট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন শুভেন্দু, বর্তমানে তিনি বিরোধী দলনেতাও বটে।

অপরদিকে, শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু এখনো পর্যন্ত বিজেপিতে যোগদান না করেলেও তারা পরোক্ষভাবে যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই, তা এক প্রকার কাঁচের মতো স্বচ্ছ আর গতকাল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের মাধ্যমে পুনরায় একবার সেই সম্ভাবনাই আরো প্রকট হয়ে উঠলো। অবশ্য বর্তমানে তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি চিঠি লিখে সাবধান করে দেওয়া হলো অধিকারী পরিবারের বাবা-ছেলেকে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) চিঠি লিখে জানান, “দল বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।”

উল্লেখ্য, বিতর্কের সূত্রপাত হয় দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকেই। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধীদের পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করে সকল বিধায়ক এবং সাংসদদের উদ্দেশ্যে বাংলার বিধানসভায় এসে ভোটদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তাদের সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে শিশির-দিব্যেন্দু পৌঁছে যান দিল্লিতে। যদিও পরবর্তীতে ভোট দিয়ে বেরিয়ে তাদের দাবি, “তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিয়েছি।” যদিও ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে তাদের সেই দাবি মানতে চায়নি কেউই। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে বাংলায় বেশ কয়েকটি ক্রস ভোটিং হওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসায় রাজনৈতিক বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পায়।

এর মাঝেই গতকাল গোটা দেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নির্বাচন শেষে বিরোধীদের পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভাকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী জগদীপ ধনকড়। তবে এ সকল বিষয়কে ছাপিয়ে গতকাল নির্বাচনে শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর ভোটদানে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি সামনে উঠে আসে।

vbsvnvnvnnvmdl

উল্লেখ্য, তৃণমূলের তরফ থেকে ভোটদানে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও ভোট দেন বাবা-ছেলে। এদিন সেই প্রসঙ্গে একটি চিঠি লিখে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “গত ৪ ই আগস্ট আমাদের দেওয়া চিঠিতে দলের সকল সাংসদদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আপনারা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। দল এই বিষয়টির উপর নজর রাখছে।” আগামীতে এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় শিশির-দিব্যেন্দু কোন পদক্ষেপ নেন, তা ঘিরেই ক্রমশ চড়ছে পারদ। এখন দেখার, অধিকারী পরিবারের পিতা-পুত্র দলের বিপরীতে হাঁটেন নাকি এক্ষেত্রেও খাঁড়া করেন কোনো নয়া যুক্তি।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর