বাংলা হান্ট ডেস্ক : রবিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ঠিক উপনির্বাচনের মুখে রাজ্যে এসে এদিন একের পর এক সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি (Amit Shah)। মন্ত্রী বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রোপাল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।
অমিত শাহ’র (Amit Shah) বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনল তৃণমূল
আর এবার অমিত শাহর এই রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শোকজ করার আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। পাশাপাশি আর কোনো বিজেপি নেতা যাতে এই ধরনের বিধিভঙ্গ না করেন সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্য সফরে এসে অমিত শাহ ঠিক কিভাবে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন? আগামী ১৩ ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই ছয় কেন্দ্রেরই অন্তর্গত উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দুই কেন্দ্র হাওড়া এবং নৈহাটি। তাছাড়া গত ১৫ই অক্টোবর থেকেই ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি (মডেল কোড অফ কনডাক্ট বা এমসিসি) কার্যকর হয়ে গিয়েছে।
আর এদিন অমিত শাহ যে জেলায় দাঁড়িয়ে একের পরে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন কিংবা একই সাথে বিভিন্ন সরকারি পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেছেন আগামী দিনে ওই জেলারই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। তাই রাজ্যের শাসক দলের প্রশ্ন কিভাবে তিনি বেমালুম এই নিয়ম লঙ্ঘন করলেন?
আরও পড়ুন : দীপাবলির আগেই বিরাট উপহার! রোজগার মেলায় ৫১ হাজার নিয়োগপত্র দিলেন মোদি
তাই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভুল ধরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু নিয়মের উল্লেখ করেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর মন্ত্রীদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিন্তু তৃণমূলের কথায় এদিন সেই নিয়মের কোনো তোয়াক্কাই করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই সময় সরকারি সফর করায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাছাড়া নির্বাচনের কাজে প্রশাসনকে ব্যবহার করা যায় না। এমনকি সরকারি গাড়ি কিংবা বিমানও ব্যবহারেও জারি থাকে নিষেধাজ্ঞা।
পাশাপাশি এদিন সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদলেরও ডাক দিয়েছিলেন শাহ। এদিন এইভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।