বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের আত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতিমধ্যে চার দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফার নির্বাচন হতে চলেছে। ওই দিন রাজ্যের ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আর পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রচার ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকায়।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হিলির জামালপুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় করে দেখাতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চরম অপমান করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে তাক লাগানোর জন্য হিলিতে একটি মূর্তি বানানো হয়েছে। সেই মূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গা হিসেবে দেখানো হয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অসুর হিসেবে।
হিলির জামালপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের বাইরে ওই বিতর্কিত মূর্তিটি দেখা যায়। মূর্তিটি দেখার জন্য অজস্র মানুষও জড় হন। মূর্তিটিতে দেখা যাচ্ছে যে, ত্রিশূল দিয়ে অসুর রুপি মোদীকে বধ করছেন মমতা। দেবী মমতার ১০ হাতে রয়েছে রাজ্য সরকার দ্বারা চালু করা কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্প। মূর্তিটি জনসমক্ষে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় বিজেপির নেতারা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করে মূর্তিটিকে নিয়ে আপত্তি জাহির করেন। এরপর তৃণমূলের তরফ থেকে ওই মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমাদের এখানকার মানুষ এক এক জন এক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ আছে। কিন্তু আমাদের এখানে রাজনীতি নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। ভোটের সময় হোক, অথবা অন্য সময় আমরা সবাই মিলে সৌহৃদ্য বজায় রাখি।”
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একই চায়ের দোকানে আড্ডা দিই। সেখানে রাজনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কোনদিনও কোনও বিবাদ বাধে নি। তবে এই ধরণের ঘটনা সবার মন ব্যথিত করেছে। তাই আমরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর তাঁরাও স্বচ্ছন্দে মূর্তিটি হটিয়ে দেয়।”
আরেকদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষকে সবসময় বিপজ্জনক বলেই ভাবি। আমাদের কাছে প্রতিপক্ষরা সবসময়ই অসুরসম। আমরা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গা হিসেবেই ভাবি। আর এই কারণে আমাদের সমর্থকরা এভাবে মূর্তি বানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে দিদিকে ‘দিদি ও দিদি” বলে ডাকেন। সেটা যদি বিজেপির লোকেদের পছন্দ হয়, তাহলে এটাও পছন্দ হওয়া উচিৎ।”