বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গ তৃণমূলের (tmc) শ্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ এবং ‘খেলা হবে’। আর এবারে দিল্লীর মসনদকে টার্গেট করে ত্রিপুরার (tripura) জন্য নতুন শ্লোগান বেঁধে ফেলল সবুজ শিবির ‘জিতবে ত্রিপুরা’। এই শ্লোগানই ত্রিপুরার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে ঘাসফুল বাহিনী।
নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে হাড্ডাহাড্ডি টক্করের পর ভোট বাস্কে বিরাট ব্যবধানে বিজেপিকে পেছনে ফেলে বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল বাহিনী। হ্যাট্রিক করে আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এই নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গ তৃণমূলের নতুন দুই শ্লোগান ঝড় তুলেছিল গোটা বাংলা জুড়ে।
‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ এবং ‘খেলা হবে’ এই দুই শ্লোগান মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলায়। নির্বাচনী ফলাফলে ভোট বাক্সে তার প্রভাব দেখে বঙ্গবাসী। বাংলা যে নিজের মেয়েকেই চেয়েছে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীকেই বেছে নিয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তারপর ‘খেলা হবে’ শ্লোগানের জনপ্রিয়তা বিচার করে ১৬ ই আগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবসই ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে এবার দিল্লীর মসনদ দখলের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল শিবির। ‘দিল্লী এখনও অনেক দূর’, এই প্রবাদকে ভুল প্রমাণিত করে, বাংলার মেয়েকেই দিল্লীর মসনদে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অনেক রাজনৈতিক শিবির। সেই মর্মে কিছুদিন আগেই দিল্লী গিয়ে বেশকিছু সরকার বিরোধী দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ত্রিপুরাতেও নিজেদের মাটি শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল বাহিনী। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) থেকে শুরু করে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধায়ক মলয় ঘটক, দলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষ, শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী ছাড়াও এই লড়াইয়ের ময়দানে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়ে চলেছেন তৃণমূলের তিন যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। তাই ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে এক শ্লোগানই বেঁধে ফেলল তৃণমূল বাহিনী- ‘জিতবে ত্রিপুরা’।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে