বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভায় (Assembly) এ যেন ফিরে এল ছোটবেলার স্মৃতি। ছেলেবেলার বাচ্চারা বদমাশি, চিৎকার করলে যেমন শিক্ষকেরা বকার দাওয়াই কাজ না দিলে চকলেট ধরিয়ে দেন ঠিক তেমনি এদিন বিধানসভায় বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের (Trinamool MLA) চুপ করাতে হাতে লজেন্স ধরালেন পরিষদীয় মন্ত্রী (Minister) বিধানসভার ভেতরেই একেবারে নজিরবিহীন এই ঘটনায় হা সকলে।
ঘটনা কী? শুক্রবার বিধানসভায় তখন বাজেটের (Budget) উপর বক্তব্য রাখছিলেন এক বিরোধী দলের একজন বিধায়ক। বিধায়কের সেই বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে চিৎকার করছিলেন তৃণমূলের কিছু বিধায়ক। যার ফলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার সমস্যায় পড়ছিলেন সেই বিরোধী বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)।
শাসকদলের বিধায়কদের অভিযোগ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা। অন্যদিকে বিরোধী বিধায়ক পাল্টা অভিযোগ করতে থাকেন যে, তাদের নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে বারংবার বাধা প্রদান করা হচ্ছে। তারা নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারছেন না। এরপর, অধ্যক্ষ নিজে তৃণমূলের বিধায়কদের শান্ত থাকতে বলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
তবে তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর নিজের সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ান পরিষদীয় মন্ত্রী সুগন্ধী চট্টোপাধ্যায়। এগিয়ে যান অশান্ত বিধায়কদের দিকে। তাদের চিৎকার করতে বারণ করে দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের বলার সময় তারা চিৎকার করলে তাদের বলার সময়ও সেই একই কাজ বিরোধীরা করবেন। তবে এতেও কাজ হয়নি।
শেষমেষ কোনো উপায় না পেয়ে নিজের জহর কোটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সেখান থেকে কিছু লজেন্স বের করেন। দলের অশান্ত বিধায়কদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে লজেন্স ধরিয়ে দেন তিনি, ঠিক যেমন ক্লাসরুমে শিক্ষক তার অশান্ত বাচ্চাদের দেন। শুধু তাই নয়, এরপর বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, লজেন্স মুখে পুরে চুপ হয়ে শান্ত হয়ে বস। যেমনি কথা তেমনি কাজ। লজেন্স পেয়েই সকলে চুপচাপ। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক।