জেলে গিয়েও শান্তি নেই, আদালতের এই নির্দেশে আবার বিপাকে জ্যোতিপ্রিয়! ইডির মুখে হাসি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কোনও আবেদনই ধোপে টিকলোনা। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় অভিযুক্ত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) জেরা করার অনুমতি পেল ইডি (ED)। যদিও রবিবার সকাল বেলা কম্যান্ড হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি জানান যে, তার শরীরের হাল বড়োই খারাপ। ক্ষীণ কণ্ঠে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার মরেই যাবো’। এমনকি তাকে যখন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয় তখনও তিনি বলেন, ‘আমার বাঁ দিকটা পুরো গেছে’।

যদিও এসব কোনোকিছুকেই পাত্তা দিলনা আদালত। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তারমধ্যেই মুখ বন্ধ খামে চলে এল জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের মেডিক্যাল রিপোর্ট। এই রিপোর্ট আদালতে পৌঁছাবে ইডির মাধ্যমে। আর ইডিকে এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল খোদ আদালত‌।

   

প্রসঙ্গত, এইদিন আদালত যখন জ্যোতিপ্রিয়র জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় তখন বালু বলেন, ‘আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে জেলে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট জ্যোতিপ্রিয়কে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন : মমতার ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’এ এল বিরাট বদল! দারুন সুযোগ করে দিল নবান্ন

এইদিন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, ‘‌আমরা জেলে গিয়ে জেরা করতে চাই। বয়ান রেকর্ড করার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে যেতে দেওয়া হোক।’‌ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই ৩ টি ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে বসেছিলেন তার স্ত্রী এবং মেয়ে। এর পাশাপাশি ইডি জানায়, জ্যোতিপ্রিয়ের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। হাসপাতালে ভর্তি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

আরও পড়ুন : বড় খবর, দীর্ঘ ৮ বছর পর ফের একবার একসাথে ‘ইষ্টি কুটুম’ জুটি! এই সিরিয়ালে ফিরছেন ঋষি-অঙ্কিতা

jyotipriya mallick 2

যদিও গ্রেফতারির পর প্রথম প্রথম জ্যোতিপ্রিয়র গলায় যে জোশ দেখা গেছিল এখন কিন্তু তেমনটা নয়। এর আগে তিনি বারংবার জানিয়েছেন, ‘‌আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’‌ আদালতে তোলার সময়ও তিনি বলেন, ‘‌সাতদিন পর আবার ফিরে আসছি। ১৩ তারিখ সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি একদম ক্লিয়ার কাট।’‌ প্রথম দিকে তার গলায় যে দৃঢ়তা ছিল এখন যে সেটা আর নেই তা একেবারেই স্পষ্ট।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর