বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন পূর্বে জনসংযোগ কর্মসূচী নিয়ে হাজির হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) রয়েছেন তিনি। জেলা ছাড়ার আগে এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে সূত্রের খবর, অন্য সকলে সেই বৈঠকে হাজির হলেও সাংগঠনিক বৈঠকে গরহাজির রইলেন তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)।
মঙ্গলবার অভিষেকের ডাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও অভিষেককে পাত্তা দিলেন না দলের এই নেতা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ইসলামপুরে অভিষেক সাক্ষাৎ এড়ানোর পর এদিনও সেই একই কাণ্ড ঘটালেন ইসলামপুরের ১১ বারের এই তৃণমূল বিধায়ক। এভাবে বারংবার দলীয় বৈঠক এড়ানোয় দল তরফে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা সেই নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
প্রসঙ্গত ইসলামপুরে অভিষেকের সভার দিন বাড়িতেই নিজের অনুগামীদের নিয়ে বসেছিলেন আবদুল করিম। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচনের পদ্ধতিটে তার সায় নেই। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন না বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক।
স্পষ্ট করে বলেন, “অভিষেকের সঙ্গে কোনও দিন দেখা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী।” শুধু তাই নয় অভিষেক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেলেই তিনি সভায় যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন হেভিওয়েট এই নেতা। ১০ বারের এই তৃণমূল বিধায়ক জানান, তার তৈরি করা প্রার্থীতালিকায় দল সম্মতি না জানালে নির্দল হয়ে লড়তেও প্রস্তুত তারা।
তবে বিধায়কের এই কড়া মন্তব্য ও বারংবার গরহাজির থাকার পরও দল তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আশ্চর্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আবার কিছুজনের মতে ভোট পূর্বে সংখ্যালঘু ভোট হাতে রাখতেই দলের এহেন আচরণ। কারণ প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচন চিন্তা বাড়িয়েছে শাসকদলের। তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সংখ্যালঘু ভোটাররা। এই পরিস্থিতিতে ফের যাতে কোনো কারণে সমীকরণ বদলে না যায় সেই চেষ্টাই করছে শাসকদল।