বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সরকারি কর্মীদের একাংশ। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সেই আন্দোলনের আঁচ। এবার সেই ডিএ আন্দোলনকারীদের চোখ তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে নাম লেখালেন মালদার (Malda) তৃণমূল সভাপতি ও মালতিপুরের বিধায়ক আবদুল রহিম বক্সী (TMC MLA Abdur Rahim Boxi)।
গতকাল মালদায় তৃণমূলের সংগঠন-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন আবদুল রহিম। সেখান থেকেই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে রীতিমতো হুমকির সুরে বিধায়ক বলেন, ‘যারা সরকারি কর্মচারীর নাম করে, যুক্ত মঞ্চের নাম করে, আমাদের সরকারি কর্মচারীদের চোর বলার চেষ্টা করছে। যে চোখ দিয়ে, কর্মচারীদের ভয় দেখাচ্ছেন সেই চোখগুলো তুলে নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারা কোথায় বড় মিছিল করে নিল, সেটা দেখে আমরা হতাশ হয়ে গেলাম। ক’জন লোক গিয়ে, তারা সেখানে কিছু সওয়াল করে নিল। আমরা ভয় পেয়ে গেলাম, সেটা নয়। সরকারি কর্মচারীদের একটা নিজস্বতা আছে, সরকার থাক বা না থাক, সরকারি কর্মচারীদের একটি নিজস্বতা আছে।’
শাসকদলের নেতার মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতাকে পাল্টা বিঁধে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, এটা অধিকার। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য যে হুমকি দিচ্ছে, সেই অধিকার কে দিল। তিনি যে চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে, তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলবে মানুষ।’
বিধায়কের মন্তব্যের জবাব দিতে মুখ খোলেন আন্দোলনকারীরাও। এই বিষয়ে পাল্টা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় চোর ডাকাত চিরকুটে চাকরি বলে আক্রমণ করেছেন, তার নিচুতলার বা অন্যান্য লোকেরা একই ভাষায় তার থেকেও খারাপ ভাষায় আক্রমণ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা সরকারি কর্মচারীরা শিক্ষকরা এমন কোন ভাষা ব্যবহার করি না যেটা খারাপ।’
পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আরেক প্রতিনিধি দীপল বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা কাউকে হুমকি দিইনি। আপনারা দেখাতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মঞ্চ বেঁধে, কার্যত সেখান থেকেই বিরোধী মঞ্চ বানিয়ে ছিলেন। আমরা এই ধরনের কোন মন্তব্য করব না, যেটা রাজনৈতিক। প্রয়োজন হলে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।’