গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বার, ‘এই’ তৃণমূল বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুললেন তরুণীর বাবা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর। বেলডাঙার (Beldanga) ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক হাসানউজ্জামান শেখের। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সালিশি সভা বসেছিল মঙ্গলবার দুপুরে। বেলডাঙা (Beldanga) থানা লাগোয়া একটি জায়গায় বসেছিল ওই সভা। হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় বিধায়ক। সভা বানচাল করে দেন তিনি। তারপরেই নিজের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তরুণী। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের দিকে।

বেলডাঙায় (Beldanga) তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টায় নাম জড়াল বিধায়কের

জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি বেলডাঙার (Beldanga) মাঝপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পণের দাবিতে তাঁর উপরে অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর মধ্যে আবার কিছুদিন আগেই ঘটে নতুন ঘটনা। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা কানে আসে তরুণীর। জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে নাকি আরো একটি বিয়ে করেছিলেন তরুণীর স্বামী। কিন্তু সেকথা বেমালুম চেপে যান।

Tmc mla accused in beldanga suicide attempt case

কী নিয়ে বসেছিল সভা: এদিকে স্বামীর আগের বিয়ের কথা জেনে ফেলতে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়ে তরুণীর উপরে। তারপরেই এই সালিশি সভার আয়োজন। সেখানে তরুণীর বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি উভয় দিকের লোকেরাই উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, বেলডাঙার (Beldanga) বিধায়ক হঠাৎ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তরুণীর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ নিয়ে সভা ভেস্তে দেন।

আরো পড়ুন : এবার যোগী স্টাইলে দিদি! নয়া আইন আনছে নবান্ন, প্রস্তাব পাশ হল মন্ত্রিসভায়

হাসপাতালে ভর্তি তরুণী: তারপরেই বাড়িতে গিয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তরুণী। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রাই। নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা (Beldanga) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তরুণীর অবস্থা এখনো সঙ্কট জনক বলেই জানা গিয়েছে। তরুণীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ের কিছু হলে দায়ী থাকবেন বিধায়ক।

আরও পড়ুন : চাকরিহারাদের ‘প্রক্সি’ দিতে অতিথি শিক্ষক, ১০০ দিনের কাজের কম বেতনেও চলছে শিক্ষকতা

এদিকে বিধায়ক হাসানউজ্জামান শেখের পালটা দাবি, তরুণী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তাঁর পরিবার চাইছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদ করতে। তরুণীর বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবেই তিনি সম্পর্ক ঠিক করতে আরো দু মাস সময় নেওয়ার কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেন বিধায়ক।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X