বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের মেজাজ হারালেন ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন দিদির দূতরা। কিন্তু সেখানেই ঘটছে একের পর এক বিপত্তি। কোথাও জনগণের তুমুল বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা, আবার কখনও বা খোদ দিদির দূতরাই মেজাজ হারাচ্ছেন কর্মসূচীতে গিয়ে। এবার এই একই ঘটনার সাক্ষী রইল বাঁকুড়া (Bankura)।
শনিবার বাঁকুড়ার সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুটিয়াদহ গ্রামে ‘দিদির দূত’ হয়ে গিয়েছিলেন তালড্যাংরার বিধায়ক (TMC MLA) অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। আর সেখানেই ঘেটে ঘ। সূত্রের খবর, সেখানের একটি মন্দিরের চাতালে চেয়ার টেবিলে বসেছিলেন বিধায়ক অরূপ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের সামনে জড়ো হয়ে নিজেদের সমস্যা, অভাবের কথা জানাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। সেখানেই হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে আঙুল উঁচিয়ে হুঙ্কার দিতে শুরু করেন ‘দিদির দূত’ বিধায়ক অরূপ।
জানা গিয়েছে এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পানীয় জলের কথা বলতেই হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতা। এক যুবক জল বিষয়ে বিধায়ককে নিজেদের সমস্যার কথা জানানোর সময় হঠাৎ রেগে গিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘ডোন্ট কাম হেয়ার। ওই ধরনের কথা বলবে না। কার সঙ্গে কথা বলছ! এই শোনো, কথা উইথড্র করো…বড় ইয়ে হয়ে গেছ না! আমি বেড়াতে এসেছি! বেড়াতে এসেছি এখানে…?’ শুধু তাই নয়, ওই যুবককে রীতিমতো প্রকাশ্য সভায় অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ।
দিদির দূতের এই অবতারকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিমলাপালের বিজেপি ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি অলোক মহান্তি বলেন, ‘আগের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন হিরে মাফিয়া। এখনকার বিধায়ক বালি-কয়লা মাফিয়া। উনি গরিব মানুষের উন্নয়নের বিষয়ে কিছুই দেখেননি। মাঝে মাঝে মুখ দেখাতে আসেন ঠিকই, তবে মানুষ ক্ষোভ দেখালেই উনি মেজাজ হারান’।