ভোট ঘোষণার আগেই চুলোচুলি! প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ অসিত মজুমদার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও বেজে গেছে নির্বাচনী দামামা। বঙ্গ জয়ের প্রস্তুতিতে আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে ভোটের আগে হাতে এখনও বেশ কিছুদিন সময় থাকলেও ইতিমধ্যেই শুরু চুলোচুলি। এদিন প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ‘দিদির দূত’ অসিত মজুমদার (Asit Mazumder)।

রবিবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বেরিয়েছিলেন চুঁচুড়ার (Hugli-Chuchura) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অসিত মজুমদার। সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা। এদিন পোলবার রাজহাট পঞ্চায়েতের ধুলিয়ারা গ্রামে একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় জনসংযোগ শুরু করেন তৃণমূল বিধায়ক।

সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। সূত্রের খবর, সেই স্থানেই দলীয় কর্মীদেরই একাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে হঠাৎই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই স্থানেই থেমে যাননি ক্ষুব্ধ কর্মীরা। এরপর রাজহাট পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অসিতকে ফের ক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে দলেরই একাংশ।

ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের? জানা গিয়েছে, দলেরই একাংশের অভিযোগ, কারও পরামর্শ ছাড়া বিধায়ক নিজেই প্রার্থী স্থির করেছেন। আর এতেই রেগে বোম দলের নেতা-কর্মীরা। এই বিষয়ে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘মানুষ ঠিক করবেন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী কে হবেন। আমরা এখানে সকলে বসে প্রার্থী ঠিক করব। উনি একা ঘরে বসে প্রার্থী ঠিক করতে পারেন না।’’

mla asit

দলের কর্মীদের ক্ষোভ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিধায়ক। ঘটনা প্রসঙ্গে সাফাই দিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘‘দল বড় হচ্ছে তাই দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু যখন যুদ্ধ হয় তখন সৈন্যরা নেমে পড়ে। তখন তারা প্রতীক দেখেন। কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকবেই। আমি সকলের অভিভাবক। আমাকেই তো বলবেন তারা।” পাশাপাশি অসিত বাবুর সংযোজন,‘‘ভোটের টিকিট চাওয়া অপরাধ নয়। কিন্তু কেউ টিকিট পেলে দলের সকলে তার হয়েই মাঠে নামবে।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর