বাংলাহান্ট ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলন করলেন সঙ্গীত শিল্পী শিলাজিৎ মজুমদার (shilajit majumder)। বীরভূমের লাভপুরের অন্তর্গত গ্রাম গড়গড়িয়ায় কয়েকজন আদিবাসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাধারনতন্ত্র দিবস উদযাপন করেন গায়ক। তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা করেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা।
বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত গড়গড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন শিলাজিৎ। এখানেই তাঁর আদি বাড়ি। মাঝে মধ্যেই তাই এখানে এসে কাটিয়ে যান গায়ক। ২৬ জানুয়ারি এলাকার কয়েকজন আদিবাসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিলাজিৎ।
সেই অনুষ্ঠানেই লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গায়ক। আমন্ত্রণ রক্ষা করে তিনি যে শুধু এসেছিলেন তা নয়, বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েও যান সকলের সঙ্গে। সংবাদ মাধ্যমকে বিধায়ক জানান, শিলাজিতের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করা যেত না। এরপরেই বিষয়টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সম্প্রতি গ্রামতুতো বোন সোনামণির দৌলতে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শিলাজিৎ। দাদা শিলাজিতের কাছে প্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করানোর আবেদন করেছিলেন। তিনি যে প্রসেনজিতের খুব বড় ভক্ত। শিলাজিৎ অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন নিজের এই বিশেষভাবে সক্ষম গ্রামতুতো বোনকে।
প্রসেনজিৎ হলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’। তাঁকে ধরাছোঁয়া কি অতই সোজা? সোনামণির সঙ্গে শিলাজিতের বানানো ভিডিও পৌঁছেছিল প্রসেনজিতের কাছে। তারপরেই ম্যাজিক। সোনামণির আবেদনে সাড়া দিয়ে ভিডিও কলে এক্কেবারে সামনে চলে আসেন ইন্ডাস্ট্রি। কলকাতা থেকে বীরভূমের সংযোগ স্থাপন হয়। প্রসেনজিতের সঙ্গে কথা বলে খুশি হয়েছিলেন সোনামণি, আর তাঁর খুশিতে মন ভরেছিল দাদা শিলাজিতের।