বাংলাহান্ট ডেস্ক : পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল সহ নানা ইস্যুতে এখন রীতিমত ফাঁপরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হল। যে অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক বলছেন, দলে পদে থাকতে গেলে দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা!
এই অডিও ক্লিপ সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। দলে পদে থাকতে হলে দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলেরই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। ভাইরাল অডিও ক্লিপে শুনতে পাওয়া গেল, টাকা দিতে না পারলে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন ব্লক সভাপতি নাকি বিজেপি থেকে এসেছেন!
মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁয় এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গোলাম মুর্শেদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক অন্যতম পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। আগস্ট মাসে রদবদল ঘটে ব্লক সভাপতির।মুর্শেদকে অপসারিত করে নতুন ব্লক সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয় বারীন কুমার ঘোষকে। কিন্তু এত পরিচিত মুখ হওয়া সত্ত্বেও কেন এই রদবদল?
গোলাম মুর্শেদ এই রদবদলের জন্য অভিযোগ তুলছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দিকে।মুর্শেদের অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণ সাহা তার কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা তিনি দিতে রাজিও ছিলেন। কিন্তু তাও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, নতুন ব্লক সভাপতি বিজেপি থেকে এসেছেন। জীবনকৃষ্ণ সাহা ও গোলাম মুর্শেদ এর সেই অডিও রেকর্ডটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সেই অডিও ক্লিপে বলা হয়:
গোলাম মুর্শেদ: তুমি যে খরচখরচার কথা বলছ, সেই খরচখরচা কত লাগবে, সঠিক বল। আমি কত দিতে পারব, না পারব, সেটাও তো বিষয়।
বিধায়ক: একটা নেগেটিভ জায়গা আছে, সেই জায়গাটা আমায় আটকাতে হবে। সেটা আমার দায়িত্ব। আপনাকে যা বসেছিলাম, এই মুহূর্তে ধরুন আপনাকে দিতে হবে ৩০ লাখ। পরে যা দেবেন, দেবেন।
ভাইরাল এই অডিও ক্লিপের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তার দাবি এই কথোপকথনটি সেই সময়ের কোন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কিন্তু এটা ঠিক নয় যে ব্লক সভাপতি থাকার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে।