বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল্পনার অবসান বিজেপিতেই যাচ্ছেন তৃণমূলের বিদ্রোহী বিধায়ক দীপক হালদার। আগামীকাল শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। আগামীকাল বারুইপুরে বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেবেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার।
উল্লেখ্য, গতকালই হাওড়ার ডুমুরজলা সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর কলকাতায় তৃণমূলকে ফাঁকা করে দেব। তৃণমূল কোম্পানির পতাকা তোলার আর কোনও লোক থাকবে না। সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আজ আবারও পতন দেখা গেল তৃণমূলে। আবারও শাসক দলের এক বিধায়ক দল ছাড়লেন।
আজ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও তৃণমূল ভবনে স্পীড পোস্টের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে দলের সদস্যতা ছাড়েন। জানিয়ে রাখি, এর আগে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার সময় তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি আবারও বিজেপির নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন কলকাতায় শোভনবাবুর বাড়িতে। এরপর থেকে দীপকবাবুকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়।
নির্বাচনের আগে একের পর এক নেতা, বিধায়ক দল ছেড়ে যাওয়ায় চরম অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। যদিও তাঁদের অস্বস্তির কথা মানতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সমেত দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পুরশুড়ার সভা থেকে দলের নেতাদের বলেছিলেন যে, যে যাওয়ার চলে যাও নাহলে ট্রেন ছেড়ে দেবে। ওনার এই মন্তব্যের পর এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা, বিধায়ক দল ছেড়েছেন।
আরেকদিকে দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন যে, ওঁরা চোর-ডাকাত। ওঁরা দলে থাকলেও ওদের টিকিট দিতাম না। এই কারণে ওঁরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এতে আমাদের দলের জঞ্জাল পরিস্কার হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের দলত্যাগীদের কারণে আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি আসন্ন নির্বাচনে জয়ের জন্য আশাবাদী।