ফের বিপাকে ‘দিদির দূত’! এলাকায় গিয়ে খোদ দলের সমর্থকদেরই রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে তাঁদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদ বিধায়করা। তবে আদতেও কী কাজে আসছে শাসক দলের এই কর্মসূচী? সেই শুরু থেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচীতে গিয়ে একের পর এক লাগাতার জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েছেন দিদির দূতেরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। দিদির দূত রূপে এলাকায় গিয়ে খোদ দলেরই সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজগঞ্জের (Raiganj) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় (Khageshwar Ray)।

সোমবার দিদির দূত রূপে রাজগঞ্জ ব্লকের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত ঠাকুরনগর এলাকায় পৌঁছেছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এদিন কর্মসূচীতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নুরজাহান বেগম। এদিন প্রথমে স্থানীয় ঠাকুরনগর এলাকায় অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন নেতা। এরপর বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে গেলেই দেখেই ছুটে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘিরে ফেলা হয় ‘দিদির দূত’ বিধায়ককে।

এলাকার নিকাশি, পানীয় জলের সমস্যা, বিদ্যুতের সমস্যা, স্কুলের শিক্ষকের অভাব সহ একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁদের সমস্ত অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন বিধায়ক। দ্রুত সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন তাঁদের। এরপর স্থানীয় বাচ্চাদের সাথেও বেশ কিছুটা সময়ে কাটান বিধায়ক। সেইসময় এলাকার একটি চায়ের দোকানে ঢুকে নিজ হাতে চা বানিয়ে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ান দলের জেলা সভাপতি নুরজাহান বেগম।

tmc flag

অন্যদিকে এদিন খোদ দলের সমর্থকদের অভিযোগ, বিক্ষোভ কাণ্ডে কোনো আপত্তি নেই বিধায়কের। বিচলিতও নন তিঁনি। তার পরিষ্কার কথা “মা-ছেলের ঝগড়া হয়। স্বামী-স্ত্রীরও ঝগড়া হয়। পরে সব মিলমিশ হয়ে যায়। এখানেও সব মিটে যাবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর