বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের নেতাকে আটক করার জের! শাসকদলের এক নেতাকে (TMC Leader) আটক করেছিল পুলিশ। তারই প্রতিবাদ জানাতে সোজা থানায় (Police Station) ঢুকে গেল মগরাহাটের (Magrahat) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। এরপর চলল দাদাগিরি। সেখানেই গালিগালাজ করছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের। শোরগোলের খবর পেয়ে থানায় পৌঁছায় ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও (SDPO) মিতুন দে। এরপর তাঁর সাথেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। চলে হুমকি-হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে ঘটবার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঠিক কি ঘটেছিল? পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে গত রবিবার উস্তি থানার ভোলেরহাটে এক বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে সেখানেরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত চৌধুরী বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, দলেরই নেতাকে আটক করার ঘটনায় বেজায় রেগে যান বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। তড়িঘড়ি দলবল নিয়ে থানায় পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে চড়াও হন তিঁনি।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় গিয়ে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হুমকি দিতে থাকেন বিধায়ক। এরপর গন্ডগোলের খবর পেয়ে থানায় পৌঁছতেই ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিওর সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিঁনি। সেই পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র।
ঘটনা প্রসঙ্গে, মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি ইমরান হাসান সাফাই দিয়ে বলেন, “বিধায়ক যে ঘটনাটা ঘটিয়েছেন তা হিট অফ দ্য মোমেন্টে হয়ে গেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কখনও চান না দলের কোনও বিধায়ক প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করুক। এই ঘটনা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত বিধায়কের। যে বিষয়টি ঘটেছে তার জন্য আমরা ব্লক নেতৃত্ব ক্ষমাপ্রার্থী।” পাশাপাশি গোটা ঘটনায় বিধায়ক নিজের ভূল বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
দলীয় নেতাকে আটক করার জের! থানায় ঢুকে এসডিপিওকে তুমুল হুমকি, গালিগালাজ TMC বিধায়কের