বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের ইশারাতেই বিধানসভা অধিবেশনের পর রাজ্যপালকে নির্যাতন করেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়কেরা। শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নাম করেই অভিযোগ জানান শুভেন্দু।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যপালের বক্তৃতায় পুরভোটের সন্ত্রাসের কোনও উল্লেখই ছিল না। তাই সেই দাবি জানিয়েই এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আর এরপরই এহেন বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু জানান, ‘রাজ্যপাল বিধানসভা কক্ষে নির্যাতিত হয়েছেন। রাজ্যপাল স্বীকার করবেন কি করবেন না জানি না, তবে রাজ্যপালকে ধাক্কা মেরেছে তৃণমূলের গুণ্ডা বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় একাধিক মহিলা বিধায়ক শারীরিক নির্যাতন করেছে রাজ্যপালকে।’ একই সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তাঁর আরও অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা চেয়েছেন ঠিক সেটাই পড়ানো হয়েছে রাজ্যপালকে দিয়ে। বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যপালের বক্তৃতায় কোথাও নেই পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুটের কথা, নেই কর্মসংস্থানের কথা। কেন রাজ্যসরকারকে বিপুল পরমাণ ঋণ এত ঘন ঘন নিতে হচ্ছে সেই নিয়ে কোনও কথাও নেই। অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন নিয়েও কোনও রকম কোনও বক্তব্য নেই। এই বক্তৃতা নিয়ে আপত্তি থাকাতেই গণতান্ত্রিক উপায়ে বিক্ষোভ করেছে বিজেপি এমনটাই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার পর মিছিল করে রাজভবনের দিকে যান বিজেপি বিধায়কেরা। রাজ্যপালকে দেখতে যাচ্ছেন বলেই জানানো হয় তাঁদের তরফে। যদিও পুরো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদলের বিধায়করা। ঘটনাটি নিয়ে দুপক্ষকেই বিঁধে সরব হয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও।