বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী মতানৈক্য চরমে।পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) কটাক্ষ করে একের পর এক আক্রমণ ছুড়ে দিয়েছে সিপিএম (Cpim)। আবার অপরদিকে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে ঘাসফুল শিবির আর এর মাঝেই এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা বাংলা।
এদিন সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন স্বয়ং তৃণমূল বিধায়ক। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বরে সিপিএমের নবগ্রাম শাখার দফতরে। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরেই হতবাক সকলে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এদিন সকালে পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রাম শাখার উপর দিয়ে রওনা দিচ্ছিলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সেই সময় বহু সিপিএম কর্মীরা তাঁকে জাতীয় পতাকা তোলার আবেদন জানালে তিনি সম্মতি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পতাকা উত্তোলনের পর তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “এখানে যারা সিপিএম দল করে, তারা সকলেই আমার ছোট ভাই। ওরা আমাকে আজ হঠাৎ পতাকা উত্তোলন করার জন্য ডাকে। তাই আমি না করতে পারিনি। এটা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম এবং মমতার বন্দোপাধ্যায়ের শিক্ষা।” এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে এক সময় বার করে দেওয়া হয়, সেই তিনি পরবর্তীতে বাংলায় সরকার গঠনের পর সিপিএম নেতাদের ফিশ ফ্রাই খাওয়ান।”
প্রসঙ্গত, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধ বহুদিনের। ২০১১ সালের পূর্বে বামেদের বিরুদ্ধে একাধিক হিংসার অভিযোগ আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে আবার তৃণমূল সরকারের শাসনকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেয় সিপিএম। সম্প্রতি, দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীদের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় পথে নেমেছে বামেরা আর এর মাঝে এদিনকার ঘটনা বেনজির বললেও কম বলা হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে সিপিএমের দাবি, “আজকের দিনে কোনরকম রাজনীতি করা উচিত নয়। তৃণমূল বিধায়ক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
পশ্চিম বর্ধমান সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখানে সবাই মিলেমিশে থাকে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারের মধ্যে কোনরকম অন্যায় নেই। উনি সকলের বিধায়ক।”