বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) একটি মন্তব্য ঘিরে বিস্তর চর্চা হয়েছে। ধনধান্য স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে ববি বলেন, ‘উপরওয়ালার আশীর্বাদে সংখ্যালঘুরা একদিন সংখ্যাগুরু হবেন’। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার মুখ খুললেন ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যের পাল্টা কী বললেন হুমায়ুন?
ফিরহাদের সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রবিবার মুখ খোলেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘হাকিম সাহেবের বক্তব্য শুনেছি। এসব বলার আগে ভেবেচিন্তে বলা উচিত। উনি বলতে চেয়েছেন, এই রাজ্যে মুসলিম সমাজের মানুষরা সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতায় চলে আসব। ওকে আমি কোরান পড়তে বলব। সম্পূর্ণ বিশ্বকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এক শব্দে যেমন উনি বিশ্বকে সৃষ্টি করতে পারেন, তেমনই এক শব্দে বিশ্ব শেষ করতে পারেন’।
এখানেই না থেমে ভরতপুরের জোড়াফুল (Trinamool Congress) বিধায়ক আরও বলেন, ‘কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি বেশিদিন অবধি বাঁচিয়ে রাখবেন, কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে তাড়াতাড়ি ওঠাবেন সেটা উনি জানেন। এই বিষয়ে ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত। হাকিম সাহেব কেন বলেছেন তা উনিই বলতে পারবেন। আল্লাহ কাউকে হিন্দু ঘরে পাঠাচ্ছেন, কাউকে মুসলিম ঘরে। তাই কার সংখ্যা কত হবে সেই বিষয়ে কথা বলার অধিকার কোনও মানুষের রয়েছে কিনা মানি না’।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে ২ দিন দুয়ারে রেশন বাধ্যতামূলক! অভিযোগ উঠতেই কড়াকড়ি খাদ্য দফতরের
উল্লেখ্য, একই দলের অংশ হলেও ফিরহাদ (Firhad Hakim) হুমায়ুনের ‘দ্বন্দ্বে’র কথা অনেকেই জানেন। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসেবে দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন হুমায়ুন। সেই সময় কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ববি।
মমতাকে ‘বলিষ্ঠ নেত্রী’ আখ্যা দিয়ে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেছিলেন, তিনি এখনও দল এবং সব দফতরকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সক্ষম। সেই সঙ্গেই বলেন, ‘যারা এত কথা বলছে, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ভোটে নেমে জিতে দেখাক, বুঝে যাব’। এর পাল্টা হুমায়ুন দাবি করেন, ফিরহাদ মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে থাকলেও জেলার কোনও সমস্যা সমাধানে তিনি গুরুত্ব দেন না। গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কোনও কথা বলতে এলেও সেটা শুনতে চান না বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল বিধায়ক।