বাংলা হান্ট ডেস্ক: জুলাই মাসে শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। যাতে বিপুল সাফল্য পেয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই ভোট নিয়েই বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘ফেলো কড়ি, পাও পঞ্চায়েতের পদ, এমনটাই হয়েছে দলে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় পঞ্চায়েতের পদ বিক্রি হয়েছে।’
ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ইদ্রিশ। তিনি বলেন, ‘দলের উপর তলা থেকে নাম আসে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি মিলে আমরা নাম ঠিক করে দিই কে, কোন পাবেন। হঠাৎ দেখা গেল যে কর্মাধ্যক্ষের নাম বদলে গিয়েছে। অভিযোগ আসছে এসব টাকার বিনিময় হচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপ করে চলছেন। দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি যারা এভাবে পদ পেয়েছেন, তাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার। এ নিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করেছি, কাদের প্রশ্রয়ে এই নামগুলো বদলে ফেলা হচ্ছে, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করা দরকার।’
ইদ্রিশ আলির এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘উনি কোন প্রেক্ষিতে কার বিরুদ্ধে এইসব কথা বলছেন তা জানি না। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার নয়, এটা বিজেপির কালচার। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় নিজেই বলেছেন কামিনী কাঞ্চনের বিনিময়ে তাদের টিকিট বিলি করা হয়। উনি অর্থের বিনিময়ে পদ পাওয়ার কথা বলছেন, আমি একজন রাজ্যসভার সাংসদ। যে দিন নির্বাচন ছিল, সেদিন আমি খুশি হয়ে বিধায়কদের লাঞ্চ করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দল আমাকে সেই অনুমতি দেয়নি। অর্থের বিনিময়ে কাউকে টিকিট দেওয়া বা পথ দেওয়া হয় না।’
এদিকে ইদ্রিশের এই মন্তব্যে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তৃণমূল ওঁকে গ্রহণ করেছে। হয়তো কোনও ব্যাপারে ওঁর একটু রাগ হয়েছে, তাই এসব বলে ফেলছেন। এসব তৃণমূলে হয়েই থাকে, এসব কথা সবাই জানে। এটা বলে একটা সত্যিকে কেবল তিনি কণ্ঠস্বর দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে দলের জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার মুখ খুললেন ইদ্রিশ আলিও।