বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করে শাসক দলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে। শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকে জন বারলার বিরুদ্ধে রাজ্য ভাগের ষড়যন্ত্র করার জন্য থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ‘গ্রেটার কোচবিহার”এর দাবি করা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জল্পনা বাড়ালেন কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।
উল্লেখ্য, সোমবার গোসানিমারির কামতেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন অনন্ত মহারাজ। সেখানে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা ওনার সঙ্গে দেখা করেন। দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অনন্ত মহারাজ কামতেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভক্তদের বিশ্রামাগার এবং ছাউনি তৈরি করার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের কাছে। জানা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক এই বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে এবার পাকাপাকি ভাবে বাংলায় ফিরতে উদ্যোগী হয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বাইরে থাকা অনন্ত মহারাজ? আর সেই কারণেই কী তিনি তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন? এখন এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। আবার এটাও প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূল যখন বঙ্গভঙ্গের বিরোধী, তখন তাঁরাই আবার কোচবিহারকে আলাদা রাজ্যে দাবি করা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে কীভাবে সাক্ষাৎ করছে?
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে অসমে গিয়েছিলেন। অনন্ত মহারাজ সেই সময়ও অমিত শাহকে আলাদা কোচবিহার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন বলেন সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে জমি দখল সহ নানান অভিযোগ তলা হয়েছিল। এরপর থেকেই অনন্তবাবু দীর্ঘদিন অন্তরালে ছিলেন। ভোটের আগে ওনাকে বিজেপির কয়েকটি সভাতেও দেখা গিয়েছিল। আর এখন তিনি আবার শাসক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন।
অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বলেন, অনন্তবাবু কামতেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন বলেই ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। দুজনের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল মাত্র। তিনি আমার কাছে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার আর ছাউনি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আমিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।