‘তৃণমূল করি কিন্তু মানুষকে বলতে লজ্জা পাই’, ভোটের আগে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে ‘বেফাঁস’ বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের বক্তব্যে শোরগোল! দলের অন্দরে এমন অনেক কর্মী আছেন যারা প্রকাশ্যে নিজেদের তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পান, সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami)। তাঁর এই বক্তব্য ঘিরেই পড়ে গিয়েছে শোরগোল।

২০১১ থেকে ২০২৪, দেখতে দেখতে প্রায় ১৩ বছর হয়ে গেল রাজ্যের ক্ষমতার তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ‘সবুজ ঝড়’ দেখেছে রাজ্যবাসী। তবুও সেই দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পান অনেকে! সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেন অশোকনগরের বিধায়ক (Ashoknagar MLA)। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিও। বাংলা হান্ট অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর বিধানসভার অন্তর্গত রাজীবপুর বিরা পঞ্চায়েতের অনন্তপাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং কর্মীদের সঙ্গে একটি সভার আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। সেই সভাতেই এই মন্তব্য করেন নারায়ণবাবু।

আরও পড়ুনঃ শাহজাহানকে বাঁচাতে নিরপরাধ মানুষদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ! CBI তদন্তে ‘ফাঁস’ চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় অশোকনগরের বিধায়ককে বলতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থক এক নয়। তৃণমূল কর্মীরা হলেন ফেরিওয়ালার মতো। দুইয়ের মধ্যে তফাৎ আছে। এরপরেই বাদাম ফেরিওয়ালার সঙ্গে দলের কর্মীদের তুলনা টানেন নারায়ণবাবু। ভাইরাল ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, যে ব্যক্তি বাদাম বিক্তি করেন তিনি যদি সেটা বলতে লজ্জা বোধ করেন তাহলে কি বাদাম বিক্রি করতে পারবেন? একই রকমভাবে তৃণমূল কর্মীদেরও লজ্জা করলে হবে না।

narayan goswami tmc mla

নারায়ণবাবুর কথায়, ‘যিনি বাদাম বিক্রি করেন তিনি যদি ট্রেনে, বাসে উঠে সেটা বলতে লজ্জা পান, তাহলে তার বাদাম বিক্রি হবে? আমাদের কর্মীদেরও লজ্জা বোধ করলে হবে না। বাদামওয়ালা যেমন জোরে জোরে বলে বাদাম নেবে গো বাদাম? তেমনই আমাদের কর্মীদের পাড়া প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে বলতে হবে, ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন’। এখানেই না থেমে অশোকনগরের বিধায়ক দাবি করেন, দলের অন্দরেই এমন অনেক কর্মী আছেন যারা তৃণমূল করলেও নিজেদের দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পান।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর