মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গেলেন না তৃণমূল বিধায়ক, আগামীকাল জবাব দেবেন বলে জানালেন তিনি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। প্রায় দিনই শাসক দল তৃণমূলের নেতা, বিধায়করা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। নানান চেষ্টা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। আর এরমধ্যে আরও এক তৃণমূল সাংসদ দলের ভাঙনের স্মৃতি উস্কে দিলেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তেমনই আজ এক সভার আয়োজন করা হয়েছে হুগলির পুরশুড়ায়। আর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সভা এড়িয়ে গিয়ে জল্পনা বাড়ালেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। নিজের এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিধায়কের উপস্থিতি না থাকার ফলে প্রশ্ন উঠছে অনেক। বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল আবার জানিয়েছেন, যা বলার কাল সাংবাদিক বৈঠক করে বলব।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষুব্ধদের তালিকা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সবাই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলছেন, যা বলার সবার সামনে এসে বলব। আর এরজন্য কেউ ফেসবুক লাইভ, আবার কেউ সাংবাদিক বৈঠকের পথ বেছে নিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

ইতিমধ্যে ওনাকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা শুরু হয়েছে। কানাঘুষো হচ্ছে যে, তিনিও শুভেন্দু অধিকারীর পথ অবলম্বন করে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী হুগলির চন্দননগরে একটি সভা করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর ঠিক তারপরের দিনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হুগলির তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর বাবুও বেশ কয়েকবার দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আর এরমধ্যে আজকে মুখ্যমন্ত্রী সভার অনুপস্থিত থেকে তিনি দলের মধ্যে কোন্দল আর প্রকাশ্যে এনে দিলেন। তবে তিনি আজ কেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকেন নি সেটা নিয়ে মুখ খোলেন নি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, আগামীকাল কোন্নগরের অফিস থেকে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন।


Baisakhi Dutta

সম্পর্কিত খবর