বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করতে চলেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি ইতিমধ্যে বাড়ি থেকে বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ওনার এই পদত্যাগ ঘিরে জল্পনা উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এখন কি ওই কেন্দ্রেই আবার দাঁড়াবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বলে দিই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি রাজ্যের বিধায়ক না। ওনাকে নিজের আসনে বজায় থাকতে হলে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে।
একুশের মহারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু ওই আসনে ওনাকে পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়। ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে নির্বাচনে হেরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ নিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে চারিদিক থেকে কটাক্ষের বন্যা ভেসেও এসেছিল।
আরেকদিকে, বিজেপির দুই বিধায়ক দিনিহাটার নিশীথ প্রামাণিক এবং শান্তিপুরের জগন্নাথ সরকার কদিন আগে নিজেদের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওনার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজেদের সাংসদ পদে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিজেপির দুই বিধায়কের ইস্তফার পর তৃণমূলের তরফ থেকে তুমুল কটাক্ষ করা হয়েছিল।
তৃণমূল বলেছিল, যদি পদ না রাখতেই হয় তাহলে নির্বাচনে দাঁড়াল কেন? উপনির্বাচনে অনেক খরচ, সেই খরচ দেবে কে? আর এবার তৃণমূলের বিধায়কের পদত্যাগের পর সেই কটাক্ষই বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। বলে দিই, ২০১১ সালেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।