বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরভোটের প্রার্থী তালিকা বিতর্কে জর্জরিত তৃণমূল। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধ করেছেন দলের কর্মীরা। টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে অভিমানে দলত্যাগীও হয়েছেন বেশ কিছু পুরোনো নেতা। এবার প্রার্থী তালিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল আর এক তৃণমূল বিধায়ককে।
এদিন হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা দাবি করেন রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে তৈরি হয়েছে প্রার্থী তালিকা। সরাসরি কারও নাম না করেই তিনি বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোনোরকম পরামর্শই করা হয়নি আমার সঙ্গে। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে ৩-৪ জন মিলে তৈরি করেছে তালিকা।’ এই অভিযোগের পাশাপাশি পদ ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া। প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৩ বারের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসের বদলে এবার অন্য একজনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এর জেরেই ৩ নম্বর এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট উলুবেড়িয়ায়। এর আগে বিধায়কের এহেন মন্তব্য এবং হুঁশিয়ারিতে অস্বস্তিতে রাজ্যের ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভুল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, পাসওয়ার্ড বিতর্ক, প্রার্থী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি অভিযোগের তীর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের দিকেই রেখেছে তৃণমূল। যার জেরে পিকে-তৃনমূল বিচ্ছেদের জল্পনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আই প্যাকের সঙ্গে কী চুক্তি আছে তা দেখে বাতিলের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন শীর্ষ নেতৃত্বরা। এমনকি বাংলা, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে চান না বলেও জানান প্রশান্ত কিশোর। এহেন পরিস্থিতিতে ভোটের মুখে আবারও নতুন বিতর্কে যে প্রভূতই ক্ষতি হচ্ছে শাসকদলের ‘ইমেজের’ তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।