বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। ভোটের আগেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী দ’পক্ষই। আর এই আবহে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) নিশানা করে বসলেন জগদ্দলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। যার জেরে ফের একবার বেআব্রু হয়ে পড়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। ভোটের আগে ফের একবার সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছর গত ২১ নভেম্বর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তৃণমূল (TMC) কর্মী ভিকি যাদবকে। ঘটনার তিনদিনের মধ্যে দুজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও দুজন অপরাধী ফেরার। নতুন পরিসরে তদন্ত শুরু করার কথা বলে তদন্তকারীরা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জগদ্দলে তৃণমূল বিধায়ক বলেন এই খুনের পেছনে অর্জুন সিং-র হাত রয়েছে।
এইদিন সোমনাথ শ্যাম জোর গলায় বলেন, ‘ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে মেঘনা জুটমিলের পুরাতন লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে আবার সেখানে ঢুকে যায়। এই কারণেই আমি বলেছি কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তার পরিবারের কেউ জড়িত রয়েছে। অর্জুন সিংয়ের পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং।’
আরও পড়ুন : এলাহি ব্যবস্থা কালীঘাটের কাকু, জ্যোতিপ্রিয়র জন্য! সেই SSKM-এই বেড না পেয়ে মৃত্যু রোগিণীর
সেই সাথে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে তাই হয়তো পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় পুলিশ এবার পিছবে না, কারণ পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য আছে। যে খুন করেছে তাকে জেল খাটতেই হবে।’ আর এই মন্তব্যের পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেউই বিশেষ ভালো চোখে দেখেননি।
আরও পড়ুন : ‘সরকার ভুল করলে প্রায়শ্চিত্ত হবে’, ধরনা মঞ্চে মুখোমুখি কুণাল-কৌস্তভ, তুমুল বচসা, উড়ে এল জুতো
এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং জানিয়েছেন, ‘সময় মতো এর উত্তর দেওয়া হবে।’ এদিকে সুযোগের সঠিক সদ্ব্যবহার করতে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রর কটাক্ষ, ‘আমার প্রথম থেকেই বলেছি রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। আমাদের এই কথাটাই তৃণমূল বিধায়ক বলে দিল।’