বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নাম জড়িয়েছে তেহট্টের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha)। চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন তিনি। কেবল যে কেলেঙ্কারি ইস্যুতে নাম উঠে আসায় তাকে নিয়ে চর্চা তেমনটা কিন্তু নয়, নেতাকে নিয়ে এত হইহট্টগোলের অন্যতম কারণ হল দলের বিরুদ্ধে তার করতে থাকা একের পর এক মন্তব্য। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় উঠে আসার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন শাসকদলের এই বিধায়ক। যা নিয়ে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপরেই শুক্রবার দলবল নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারী অফিসাররা। বিকেল ৩টের কিছু পরে সেখানে যান তারা। বিধায়ককে তার কার্যালয়ে বসিয়ে টানা জেরার পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয় বিভিন্ন নথিপত্র, মোবাইল ফোন। টানা ১৫ ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশির পর রবিবার ফের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাপস সাহা।
কী তার অভিযোগ? বিধায়কের কথায়, সিবিআই তল্লাশির আগে বা পরে দলের তরফে কেউ একটি বারের জন্যও তার খোঁজ নেননি। সেই নিয়েই গাল ফুলেছে তাপসবাবুর। এই নিয়ে অভিমানের সুরে বিধায়ক বলেন, “আমি দলের একজন কর্মী। আমি তো আশা করতেই পারি কর্তৃপক্ষ বিপদের দিনে আমাকে সহযোগিতা করবে। পাশে থাকবে। কিন্তু আমি কাউকে পাশে পাইনি। জেলার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও লাভ নেই। কারও কোনও হেলদোল নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।”
এখানেই শেষ নয়, এরপর রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিধায়ক বলেন, “তেহট্ট বিধানসভায় আমি দলের মুখ আমি রক্ষা করবই। কোথায় কী হবে সেটা আমি জানি না।” অন্যদিকে তাপস সাহার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন। খানিক কটাক্ষ করেই তিনি বলেন, “দল একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবার। দলের একটা প্রোটোকল আছে। ওনার কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে বলুন। আর তৃণমূলকে মানুষ ভালবাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য, কেউ যদি ভাবেন যে তার জন্য বা তিনি জিতিয়ে দেবেন দলকে, সেটা ভুল ধারণা।”
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় সিবিআই তদন্তের একদিন আগেও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “দিদিকে (মমতা) আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি ব্যতিক্রমী। যেভাবে বাংলায় তিনি লড়াই করছেন, তাতে তিনিই আমাদের একমাত্র নেত্রী। তিনি আমার কাছে দেবতার থেকেও বেশি। মমতার পর আমি আর কাউকে মনে করি না। অভিষেক আমার সঙ্গে কখনও কথা বলেননি। আর অফিসে গেলেও চাকর-বাকর দিয়ে বার করে দেওয়া হয়। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের এবি অফিস থেকে বার করে দেওয়া হত।” নেতার এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা ফাটালেন তাপস সাহা।