বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। ২৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে খুন করা হয়। তার ১৫ দিনের মাথায় অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ভারত। ইতিমধ্যেই পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের কথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে নানান দেশে ৭টি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই নিয়ে বড় প্রস্তাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বহুদলীয় প্রতিনিধিদলের বদলে শহিদ পরিবারের সদস্য ও সেনা জওয়ানদের পাঠানো হোক, বলেন তিনি।
কেন্দ্রের কাছে বড় প্রস্তাব অভিষেকের (Abhishek Banerjee)!
কোন দলের তরফ থেকে কোন প্রতিনিধি যাবেন, সেই নিয়ে কেন্দ্রের তালিকা তৈরির বিষয়ে আগেই আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারও তিনি বলেন, ‘দেশ রক্ষা ও জঙ্গি দমনে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, তৃণমূল কংগ্রেস তার পাশে দাঁড়াবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে। তবে প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়ে দলের কাছে কোনও অনুরোধ আসেনি। আর কোন দল থেকে কোন প্রতিনিধি যাবেন, সেটা বাছাই করা বিজেপি সরকারের হাতে থাকার কথা নয়’।
গতকাল সকালে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে অভিষেকের কণ্ঠেও এই একই সুর শোনা যায় বলে খবর। এরপর রাতে বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বহুদলীয় প্রতিনিধিদলের বদলে শহিদ পরিবারের সদস্য ও সেনা জওয়ানদের বিশ্বের নানান দেশে পাঠানোর কথা বলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
আরও পড়ুনঃ গলা অবধি মদ্যপান করে দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি! গ্রেফতার ‘এই’ তৃণমূল নেতা
তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার কথায়, ‘পহেলগাঁও হামলা থেকে যারা বেঁচে ফিরে এসেছেন, যারা নিজেদের চোখের সামনে প্রিয়জনদের হারাতে দেখেলন ও যারা সামনে থেকে অপারেশন সিঁদুরের নেতৃত্ব দিলেন, তাঁরাই তো পাকিস্তানের সন্ত্রাস নিয়ে সবথেকে ভালো বলতে পারবেন। সেই কারণে আমার মনে হয়, বহুদলীয় প্রতিনিধিদলের বদলে শহিদ পরিবারের সদস্য ও সেনা জওয়ানদের দেশে দেশে পাঠানো হোক’।
ইতিমধ্যেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) এই প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন অনেকে। রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তৃণমূল সাংসদের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করেও তিনি যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে সহমত পোষণ করেছেন অনেকে। মোদী সরকার অভিষেকের এই বিকল্প প্রস্তাব মানে কিনা সেটাই দেখার।