বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছে। গত শুক্রবার দলের চেয়ারপার্সন ও জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জেলা সভাপতি পদ হারিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দুই হেভিওয়েট। কেন এই সিদ্ধান্ত? এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
দলের রদবদল নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট (Anubrata Mondal)। অন্যদিকে কলকাতা উত্তর জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব ছিল সুদীপের (Sudip Banerjee) কাঁধে। শুক্রবার প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, সভাপতির পদ হারিয়েছেন দুই দাপুটে নেতা। বীরভূম ও কলকাতা উত্তর, দুই জায়গাতেই তৃণমূলের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ সদস্যের কোর কমিটিকে।
সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেক বলেন, ‘নেতাজি ইনডোরের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটিতে থাকবেন। বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠকও হয়েছে। উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান আছেন। সেখানে ৭ জন বিধায়ক, তাঁদের সঙ্গে আরও ২ জন, ট্রেড ইউনিয়নের স্বপন সমাদ্দার ও জীবন সাহা সংযোজিত হয়েছেন। ৯ জনের কোর কমিটি বানানো হয়েছে। টিম ওয়ার্ক করে সকলে কাজ করবে। কাকে বেশি পুরস্কৃত করা হল, কার ক্ষমতা খর্ব হল, সেভাবে দেখা ঠিক নয়’।
আরও পড়ুনঃ ‘আমাদের জন্য কিন্তু চাকরিগুলো যায়নি… আন্দোলনেরও একটা লক্ষ্মণরেখা আছে’! বড় বার্তা মমতার
অভিষেক এদিন জানান, দলের সাংগঠনিক স্তরে সকল রদবদল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনে হয়েছে। কোথায় কে থাকবেন না থাকবেন, বিগত দিনে তাঁদের কাজের ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তৃণমূল (TMC) সাংসদ বলেন, ‘বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সাংসদ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জেলা স্তর থেকে সরিয়ে রাজ্য স্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা রাজ্য স্তরে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, সহ সভাপতি হয়েছেন, কেউ আবার সম্পাদক হয়েছেন। এতদিন যারা জেলা স্তরে কাজ করেছেন, তাঁরা রাজ্য স্তরে কাজ করবেন’।
অভিষেক এদিন বলেন, ‘জেলাস্তরে অনেককে নতুন করে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা খুব ভালো চেষ্টা করেছে, তবে আশানুরূপ ফল করতে পারেননি, তাঁদেরকেও অনেক জায়গায় পুরস্কৃত করা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল জেলা সভাপতি পদ থেকে সুদীপ-কেষ্টর অপসারণ। এবার এই নিয়ে বার্তা দিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। যেখানে যা পরিবর্তন হয়েছে, সবটাই দলনেত্রীর অনুমোদনে হয়েছে, জানান তৃণমূল সেনাপতি।