বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজের সংসদীয় এলাকায় ‘সেবাশ্রয়’ নামের একটি স্বাস্থ্য শিবিরের সূচনা করেছেন। নতুন বছরের শুরু থেকেই ডায়মন্ড হারবারের নানান প্রান্তে এই ক্যাম্প আয়োজিত হচ্ছে। এবার এই সেবাশ্রয়ের সৌজন্যেই নতুন প্রাণ ফিরে পেল ৯ বছরের ছোট্ট আলতাফ হোসেন ঘরামী। সমাজমাধ্যমে সেই কাহিনী তুলে ধরেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ নিজে।
আলতাফকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক (Abhishek Banerjee)
শুক্রবার নিজের সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোলে করে সেবাশ্রয় ক্যাম্পে প্রবেশ করছে ছোট্ট আলতাফ। সেখান থেকেই জানা যায়, ছোট্ট খুদে Congenital Cardiac Anomaly রোগে আক্রান্ত। এরপর তাঁকে জগন্নাথ গুপ্তা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে রেফার করে দেওয়া হয় বলে জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
গত ১৮ জানুয়ারি ওই হাসপাতালেই ছোট্ট আলতাফের ওপেন-হার্ট সার্জারি হয়। এরপর তাঁকে দেখতে সেখানে উপস্থিত হন অভিষেক (Abhishek Banerjee) নিজে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ছোট্ট আলতাফ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। চিকিৎসকরা অভিষেককে জানান, ভীষণ জটিল একটি কেস ছিল। মনোযোগ সহকারে তাঁদের কথা শোনেন তৃণমূল সাংসদ। সেই সঙ্গেই বিছানায় শুয়ে থাকা খুদের সঙ্গেও বেশ কিছু কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ বিস্ফোরক দাবি! এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ জয়নগর কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুস্তাকিন! তোলপাড় রাজ্য
এই ভিডিও শেয়ার করে অভিষেক লেখেন, ‘কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করছে সন্তান! একজন বাবা হিসেবে সেই কষ্টটা আমি বুঝতে পারি। সেই কারণেই ৯ বছরের আলতাফ হোসেন ঘরামীর যাত্রার সঙ্গে আমি একাত্ম হতে পেরেছি। সেবাশ্রয় ক্যাম্প চলাকালীন জানা যায়, ও Congenital Cardiac Anomaly-তে আক্রান্ত। এরপর ওকে জগন্নাথ গুপ্তা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে রেফার করা হয়। এরপর থেকে ওর কথা আমার মাথায় ছিল’।
তৃণমূল সাংসদ লেখেন, এদিন ছোট্ট আলতাফের মুখে উজ্জ্বল হাসি দেখার পর চিন্তামুক্ত হতে পেরেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই চিকিৎসকদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অভিষেক (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘সেবাশ্রয়ের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার একটি শক্তিশালী প্রমাণ এটি। এই ধরণের মুহূর্তই আমায় এই মিশনে টিকে থাকার শক্তি জোগায়। যার মূলে রয়েছে সমবেদনা এবং যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁদের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি’।