‘CBI-ED থেকে বাঁচতে দিল্লির কাছে বিক্রি’, নাম না করে শুভেন্দুকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে কটাক্ষ অভিষেকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন হলদিয়ায় শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভার প্রথমেই তিনি ঠিকাদারি প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তবে পরবর্তীতে পুরো সময়টাই তাঁর নিশানায় থাকে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি দল। প্রকাশ্য জনসভা থেকে এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “তুমি অকৃতদার নয়, অকৃতজ্ঞ। সিবিআই ও ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের আবেগকে দিল্লির কাছে গিয়ে বিক্রি করেছ তুমি।” ফলে নাম না করলেও তৃণমূল নেতার নিশানায় যে শুভেন্দুই ছিলেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায়।

সম্পূর্ণ বক্তৃতায় প্রথম থেকেই এদিন কড়া মেজাজে দেখা যায় অভিষেককে। তিনি বলেন, “এখানে একজন রয়েছেন, তিনি নিজেকে এই জেলার প্রধান বলে দাবি করতেন আর এখন সিবিআই ও ইডির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তোমরা আমাকে দুবার তলব করে আমার মাথা নত করার চেষ্টা করেছো, তবে আমি দমে যাইনি এবং বর্তমানে তোমাদের দলের দুজন সাংসদকে তৃণমূল দলে নিয়ে এসে উল্টে তোমাদের মাথা নত করতে বাধ্য করেছি।”

এছাড়াও এদিন বিজেপি দলকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা। বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যদি বর্তমানে দরজা খুলি, তাহলে বাংলা থেকে বিজেপি দল উঠে যাবে। কিন্তু আমরা তা করবো না। আমার কাছে সমস্ত তালিকা রয়েছে, কে গদ্দার, মীরজাফর আর কে ভাল। কে অনুগামী হয়ে দলের ভেতর ঢুকে আমাদের খারাপ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের সকলকে আমরা চিহ্নিত করেছি।”

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার কাণ্ডে একের পর এক মামলায় সিবিআইকে তদন্তের ভার দিয়ে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট, যা নিয়ে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ রয়েছে তৃণমূল শিবির। এদিন অভিষেকের  গলাতেও সেই একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, “লজ্জা লাগলেও এটা বলতে হবে যে, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় 1% এমন মানুষ রয়েছেন, যারা তল্পিবাহকের কাজ করে চলেছেন। প্রত্যেকটি মামলাতেই তারা সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমি ভয় পাই না, এই কথা বলার জন্য যদি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাও আমি পিছিয়ে যাব না।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর