দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়! বাংলায় ‘ভয়ে’ কাঁপছে তৃণমূল? ছাব্বিশের ভোট নিয়ে বিস্ফোরক কল্যাণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress), বিজেপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। একুশের ভোটে জোড়াফুলের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে গিয়েছিল পদ্ম। তবে ছাব্বিশের ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিকে (BJP) বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে দিল্লির ফলাফল। রাজধানীতে ‘আপ বিদায়ে’র পর গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য বাংলা।

দিল্লির ফলাফলের পর চাপে তৃণমূল (Trinamool Congress)?

আড়াই দশকের অধিক সময় পর দিল্লির মসনদ দখল করেছে বিজেপি। পদ্মের ঠ্যালায় কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন রাজধানীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। শনিবার দিল্লির ফলাফল বেরোতেই ছাব্বিশের ভোটের জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির।

দিল্লির পালাবদলের পর বিজেপির লক্ষ্য বাংলা, কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এদিন তিনি দাবি করেন, দিল্লিতে আপ বিদায় হয়েছে। এবার ভয়ে কাঁপছে তৃণমূল (Trinamool Congress) কংগ্রেস। ছাব্বিশের ভোটে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘তৃণমূলের এই সময়ে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক’।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিরাট উদ্যোগ! জারি করা হল নয়া বিজ্ঞপ্তি

এই আবহে এবার পাল্টা মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে তিনি পাল্টা দাবি করেন, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে ৩০টি আসনেও জয়ী হতে পারবে না পদ্ম শিবির। এমনকি বিরোধী দলনেতাও বিজেপির তরফ থেকে হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

তৃণমূল (TMC) সাংসদের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কোনও জায়গা থাকবে না, নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৬-এ বাংলায় বিজেপি ৩০টি আসন পাবে না। ওরা বিরোধী দলনেতা দিতে পারবে না’।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বাংলা জুড়ে উঠেছিল সবুজ ঝড় (Trinamool Congress)। জোড়াফুলের ধাক্কায় ফিকে হয়ে পড়েছিল পদ্ম! এরপর রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি বিজেপি। এই আবহে ছাব্বিশের ভোট নিয়ে বড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। যদিও তাঁর সেই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আগামী বছর ভোটের ফলাফল কী হয় সেটাই দেখার।