বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৫১ বছরে এসে দ্বিতীয়বার গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি। স্বামী পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র (Pinaki Misra)। দুই রাজনীতিকের চার হাত এক হল বার্লিনের এক প্রাসাদে। জানা যাচ্ছে, বেশ অনেকটা সময় ধরেই সম্পর্কে ছিলেন পিনাকী-মহুয়া। ঘনিষ্ঠরা বিয়ের কথাও জানতেন। অবশেষে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন দু’জনে।
দীর্ঘদিনের বন্ধু পিনাকী-মহুয়া (Mahua Moitra)
কৃষ্ণনগরের সাংসদ ও পুরীর প্রাক্তন সাংসদ, দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ‘জেপি মর্গ্যান অ্যান্ড চেস’এ কর্মরত থাকাকালীন ডেনিশ ফিন্যান্সার লার্স ব্রর্সনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহুয়া। পরবর্তীতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি। অন্যদিকে ওড়িশার সঙ্গীতা মিশ্রের সঙ্গে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পিনাকী। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তবে বেশ কয়েক বছর আগে ডিভোর্স হয়ে যায় পিনাকী-সঙ্গীতার।
জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েক বছর ধরেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (TMC) সাংসদ ও পুরীর প্রাক্তন সাংসদ বন্ধু। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর পিনাকী ও মহুয়ার ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। গত বছর দু’জনে ইউরোপ ভ্রমণেও গিয়েছিলেন। অবশেষে জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে চার হাত এক হল দু’জনের।
আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি, চোখের নিমেষে পাল্টে যাবে আবহাওয়া! কোথায় কোথায় দুর্যোগের পূর্বাভাস?
মহুয়ার মতো পিনাকীও পুরোদস্তুর রাজনীতিক। পেশায় তিনি আইনজীবী। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে পুরীর সাংসদ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিজু জনতা দলে যোগ দেন পিনাকী। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেডির (BJD) হয়ে পুরীতে জয়লাভ করেন। চব্বিশের ভোটে অবশ্য তাঁকে টিকিট দেননি নবীন পট্টনায়েকের দল।
পড়শি রাজ্যের রাজনীতির গুঞ্জন, মহুয়ার (Mahua Moitra) সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে বিতর্ক এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেডি। পাল্টা ফিসফাস, পিনাকীই আর ভোটে দাঁড়াতে চাননি। অন্যদিকে ২০১৯ সাল থেকে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। এবার এই দুই দাপুটে রাজনীতিকই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন। তাঁদের হাত ধরে যেন মিলে গেল কৃষ্ণনগর আর পুরী!