বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার নাম না করেই চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে একহাত নিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শনিবার এই বিষয়টি নিয়েই স্যোশাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন তিনি। শুধু আর্থিক প্রতারণাই নয়, একই সঙ্গে টেট কেলেঙ্কারিকেও এরই মধ্যে জুড়েছেন মহুয়া মৈত্র।
‘শনিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কৃষ্ণনগরের সাংসদ লেখেন, ‘সবাইকে সতর্ক করতে চাই তেহট্ট পলাশীপাড়া এলাকাতে একটি চক্রর অভিযোগ অনেকজন করছে। ২০১৪ সালের কোর্টের রায়কে অন্যায়ভাবে ঢাল করে ৬ নম্বর বাড়িয়ে ব্যাকডেটে টেট প্যানেলে নাম নথিভুক্ত করার চক্র চলছে। আজ নয়তো কাল এই চক্রটিও ফাঁস হবে। জনসাধারণ কে আবার সতর্ক করছি এই সব ফ্রড লোকেদের পাল্লায় পড়বেন না, তাদের পেছনে ঘুরবেন না। অভিযোগ থাকলে নির্ভয়ে পুলিশ প্রশাসন ও সাংসদ অফিসে লিখিত ভাবে জানান।’
সম্প্রতি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, বিধায়কের প্রতারণার শিকার খোদ তাঁরই ভাগ্নে এবং দলেরই অন্য এক নেতার জামাইও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমনই দিকে গিয়েছে যে তিনটি চিঠি লিখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রতারিতরা। মোট ১৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক সহ ৩ জনকে।
বিধায়ক নিজে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও অপরাধ করলে কাউকেই যে রেয়াত করা হবে নে সেই ব্যাপারে কড়া বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যত বড় রাজনৈতিক নেতাই হন না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে রেয়াত করা হবে না। অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতা হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।’ অভিযোগ প্রমাণ হলে পদত্যাগ করবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও সব মিলিয়ে এ বেশ চাপের মুখে ওই তৃণমূল বিধায়ক তা বলাই বাহুল্য।