মোদী PM নন, পাবলিসিটি মাস্টার, বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল! বোমা ফাটালেন তৃণমূল সাংসদ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Woman Reservation Bill)। বহুবছর ধরে পড়ে থাকা বিল অবশেষে মোদীর আমলে পাশ হল। এবার শুধু রাষ্ট্রপতির সম্মতির অপেক্ষা। আর এরই মধ্যে বিজেপি নারীবিদ্বেষী দল, এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। বাংলা হান্ট-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।

শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপি (BJP) যদি সত্যিই মহিলাদের জন্য কিছু করতে চাইত তাহলে ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর শেষ লগ্ন অবধি অপেক্ষা করত না। বাস্তবটা হচ্ছে বিজেপি একটা নারীবিদ্বেষী রাজনৈতিক দল। দেশের মানুষ ভুলে যায়নি যে, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিস বানোর ধর্ষকদের রেহাই দেয়। দেশের মানুষ মনে রাখছে, যে মহিলা কুস্তিগিররা দেশের মান যাঁরা বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করল, তাঁদের যে হেনস্থা করল সেই ব্রিজভূষণকে বহাল তবিয়তে সাংসদ করে রেখে দিয়েছে এই বিজেপি। দেশের মানুষ মণিপুর দেখেছে। প্রকৃতপক্ষে যিনি মহিলাদের উন্নয়ন করতে চান, তিনি ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপির এটা পলিটিক্যাল গিমিক।’

এদিন নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) তোপ দাগেন শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় উনি এখন কৃতিত্ব নিতে চান। এখন পিএম মানে প্রাইম মিনিস্টার নয়, দেশের মানুষ পিএম মানে পাবলিসিটি মাস্টার বোঝেন।’

আগামী দিনে দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার ঘোষণা করেছে তৃণমূল। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অনুমতি মিলেনি। এই নিয়ে সিপিএমের দাবি, বাংলায় কোনও ধর্না বা প্রতিবাদের অনুমতি দেয় না রাজ্য পুলিশ। তাই বিজেপি (BJP) এর পাল্টা দিয়েছে। এই নিয়ে আবার মন্তব্য করে বামেদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলার সিপিএমের (CPIM) কথা যত কম বলা হয়, ততই ভালো। ৩৪ বছরে বাংলাকে শোষণ করে শ্মশানে পরিণত করেছে। বাংলায় গণতন্ত্র আছে বলেই মোদী-শাহ যখন খুশি আসতে পারেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারেন।’

 

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে ফের নবজোয়ার যাত্রায় বেরোতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), এমনটাই খবর সূত্রের। এই নিয়ে শান্তনু সেন বলেন, ‘নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি জনজোয়ারে পরিণত হয়েছিল। তা দেখে ভয় পেয়ে সেই সময় ইডি অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছিল। আমরা দেখেছি যেখানে মানুষ ২০১৯, ২০২১ সালে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল সেখানে এই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন।’

Monojit

সম্পর্কিত খবর