বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সকাল সকাল সিবিআই-এর কর্তারা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। এরফলে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে যে, তৃণমূলের বাকি অভিযুক্তরা এখন কি করবেন? তাঁরাও যেকোনও সময়েই সিবিআই-এর নজরে আসতে পারেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূলের বাকি অভিযুক্তরা কি আইনি রক্ষাকবচ নেবেন? এই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। নারদা মামলায় সিবিআই-এর চার্জশিটে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। রাজ্যের দুজন মন্ত্রী আর একজন বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর বাকিদেরও গ্রেফতারি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে।
আর এই আশঙ্কার মধ্যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ নেবে, সেই নিয়ে চলছে তুমুল জল্পনা। তৃণমূলের এক সাংসদ জানান, ‘বাকিরা আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তাঁরা আবেদনে বলতে পারে যে, সিবিআই যতবার ডেকেছে ততবার গিয়েছি আর তাঁদের তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আমরা বাইরে থেকে কোনও সাক্ষীকেই প্রভাবিত করব না। সেই শর্তেই আমাদের আগাম জামিন দেওয়া হোক।”
ওই সাংসদ আরও বলেন, ‘ যত সম্ভব সিবিআই-এর চার্জশিটে সাংসদদের অভিযুক্ত বলেই বর্ণনা করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগাম জামিনের আবেদন করানো স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলকেই নিতে হবে।” তবে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আগাম জামিনের আবেদন করবেন না। তিনি পাল্টা বলেছেন, এতে ভয় পাওয়ার কি আছে? আমরা রাজনীতি করি, দু’দিন জেলে গেলে কি হবে? আমি আগাম জামিন নেব না।”