বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছিল শিশুবিকাশ কেন্দ্র, রাতারাতি সেটি বদলে হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিস। সকাল সকাল গ্রামবাসীদের নজরে পড়ার পর উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিশালিতে। আর এরপরই ভিডিও এবং মহাকুমা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তৈরি হওয়ার পরই আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খোঁজার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বারিশালি গ্রামের অ্যাজবেস্টসের চালার একটি বাড়িতে বড় বড় করে লেখা ‘বারিশালি ২২ নম্বর শিশুবিকাশ কেন্দ্র’। আবার তার ঠিক নীচেই লেখা, ‘বারিশালী তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়’, সঙ্গে তৃণমূলের প্রতীক। গ্রামবাসীদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরে এই বাড়িটিতেই গ্রামের শিশুবিকাশ কেন্দ্র ছিল। দিন কয়েক আগে সেটি স্থানান্তরিত হয়েছে বারিশালি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে। তারপর থেকে এই বাড়িটি ফাঁকাই পড়ে ছিল। কিন্তু বুধবার সকালে দেখা যায়, বাড়িটির দখল নিয়েছে তৃণমূল। সেটিকে কার্যালয় বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাড়িটিকে প্রশাসনের কোনও জনকল্যাণমূলক কাজে লাগানো যেতে পারত। সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু তা না করে তৃণমূল সেই জমির দখল নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইজ্জত হচ্ছে মুখপাত্ররা! এবার মমতা সরকারকে একহাতে নিলেন কুণাল, তৃণমূলে থরহরিকম্প
এই বিষয়ে বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘ইমেইলে পাঠানো চিঠি এখনও দেখিনি, ওই চিঠির বিষয়বস্তু দেখার পর পুলিশকে জানানো হবে। প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয়টি সামনে আসতেই খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, ‘দখলদারি নীতিতে তৃণমূল বিশ্বাস করে না। সিপিএমের কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে আলোচনায় বসে এই বিষয়টির সমাধানের পথ বের করা হবে।’