বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনার (Corona) প্রকোপ বেড়েই চলেছে। মারণ ভাইরাস দিনে দিনে জাঁকিয়ে বসছে। একেরপর এক রেকর্ড ভেঙে সংক্রমণ ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক করোনা প্রবন রাজ্য গুলি কারফিউ এবং লকডাউনের (Lockdown) দ্বারস্থ হয়েছে। ভোট উৎসবে মেতে থাকা বাংলার পরিস্থিতিও স্থিতিশীল নয়। এখানেও উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে করোনা। আর এই ভোটের বাংলায় করোনার অন্যতম হটস্পট হয়ে উঠতে পারে রাজনৈতিক সভা-মিছিল গুলি তা আগেই অনুমান করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে মিটেছে পাঁচ দফার ভোট পর্ব। বাকি আরও তিন দফা। এই দফা গুলির ভোটগ্রহণ হবে যথাক্রমে ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল। তবে আবারও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শাসকদল তৃণমূল কমিশনকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছে শেষ দু’দফার ভোট একই সাথে হোক বলে। যে হারে রাজ্যে করোনা তার তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে এখন দেখার বিষয় কমিশন (Election Commission) কি প্রতিক্রয়া দেয় তৃণমূলের প্রস্তাবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে চার দফার ভোট পর্ব মিটতেই তৃণমূলের (TMC) তরফে আগেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শেষ চার দফার ভোট একসঙ্গে করা হোক, তাতে সভা-মিছিল করার আর প্রয়োজন হবে না, সংক্রমণেও লাগাম টানা যাবে। তবে সেবার কমিশন জানিয়ে ছিল তেমন টা সম্ভব নয়, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই ভোট গ্রহণ (WB Assembly Poll 2021) হবে। কিন্তু ভোটের বাংলায় সভা-মিছিল গুলিতে রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের থোড়ায় কেয়ার মনোভাব দেখে আদালতে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় প্রতিক্রয়া জানাতে গিয়ে কড়া মনোভাব দেখালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন (T B Radhakrishnan)।
অন্যদিকে মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অন্দরেও। আক্রান্ত হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশিল চন্দ্র (Sushil Chandra) এবং নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা দুজনেই নিভৃতবাসে থেকে বাংলার পরবর্তী দফার ভোট নিয়ে অধিকারিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বৈঠক করে চলেছেন। এমন পরিস্থিতি তৃণমূলের বাকি তিন দফার ভোট এক সঙ্গে করিয়ে নেওয়ার আর্জি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।