বাংলাহান্ট ডেস্ক : দোরগোড়ায় পুরভোট। তার আগেই দলের অন্দরের কাজকর্ম গুছিয়ে নিতে চায় তৃণমূল। তাই পুরভোটের আগেই আজ সাংগঠনিক নির্বাচন ঘাসফুল শিবিরে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ ভোটের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে দলের বিভিন্ন পদাধিকারীকে। এই নির্বাচন দেখতে বাম -কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণ করা হলেও উপেক্ষিতই থাকছে বিজেপি।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেরই বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলির তৃণমূল নেতৃত্বকেও। এছাড়াও আজ উপস্থিত থাকবেন সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, কোর কমিটির সদস্য, রাজ্য কমিটির পদাধিকারী এবং প্রাক্তন সাংসদরা।
বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সৌজন্য দেখানোর জন্যই অন্যান্য নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সিপিএম নেতা বিমান বসু, সুখেন্দু পানিগ্রাহি, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হাফিজ আলম সৈরানীসের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা যায়নি। সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বিহারে, তাই তিনি আসতে পারবেন না। এসইউসিআই এর চন্ডী ভট্টাচার্যও ব্যস্ত। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য দিল্লিতে সংসদে রয়েছেন।’ সবকিছুর পর অবশ্য তিনি সাফ জানান, ইচ্ছাকৃত ভাবেই কোনো বিজেপি নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই নির্বাচনে। যদিও এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি বিজেপির তরফে।
প্রসঙ্গত, আজ বেলা ১১টা থেকে শুরু হতে চলেছে এই সাংগঠনিক নির্বাচন। ফলপ্রকাশ হবে বিকেল ৪টের পর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর ঠিক কতখানি বদলাতে চলেছে শাসকদলের খোল নলচে, সেদিকে আজ চোখ থাকবে গোটা রাজ্যের।