প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে ধরে পেটাল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একটি ঘটনার প্রতিবাদ করায়, রাস্তায় ফেলে পেটানো হল সাংবাদিক (journalist) পলাশ মুখোপাধ্যায়কে। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়া (pandua) থানার অন্তর্গত বৈচিগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এবং ঘটনায় অভিযুক্ত তালিকায় রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর অনুগামীদের নাম।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। রোজকার মত কাজ সেরে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বৈচিগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক পলাশ মুখোপাধ্যায়। রাস্তায় আসতে আসতে বৈচিগ্রাম লেভেল ক্রসিং পার করেই তিনি দেখেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জাহির আব্বাস এবং সঙ্গে প্রায় ১৪- ১৫ জন যুবক মিলে একজনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করছেন।

bv bvkvbj

তাঁদের দিকে এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পলাশ জিজ্ঞেস করেন, কেন একজন ব্যক্তিকে এইভাবে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে? তাঁরা জানায়, চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হচ্ছে। এরপর পলাশ তাদেরকে পরামর্শ দেয়, মারধর না করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক ওই ব্যক্তিকে।

অভিযোগ উঠেছে, পলাশের এই পরামর্শ শোনা মাত্রই তাঁর উপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত প্রধান জাহির আব্বাসের ঘনিষ্ঠ আসরাব আলি এবং তাঁর দলবল। সাংবাদিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাণ্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে এবং পরবর্তীতে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তাঁকে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এক সাংবাদিকের উপর হামলার জেরে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্নমহল থেকে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার জেরে পঞ্চায়েত প্রধান সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনও প্রকারের দাদাগিরি বরদাস্ত করব না আমরা। পুলিশ ঠিক ব্যবস্থা নেবে’। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ‘ঘটনায় ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর