বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কথা না শোনায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি! সঙ্গে ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ধরেও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (tmc) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অসুস্থ মহিলাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, খানাকুলের (khanakul) পোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভেদুয়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আসিক ইকবাল প্রায়শই গ্রামবাসীর উপর জুলুম, অত্যাচার চালান। তাঁর কথা না শুনলে, অত্যাচার করেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অন্তঃসত্ত্বা আলেনুর খাতুন গ্রাম প্রধান আসিক ইকবালের কথা অর্থাৎ ফরমান না শোনায়, তাঁর পেটে লাথি মারেন আসিক ইকবাল। এমনকি ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ধরেও মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরবর্তীতে খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও, পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সেই সময় আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পর সেখান থেকে অবস্থার ক্রমশ অবন্নতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার পেটে থাকা সন্তানের অবস্থা সংকটজনক। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এবিষয়ে খানাকুল ১ নম্বর পঞ্চায়েত সহ-সভাপতি জানান, ‘এই ঘটনাটা সত্যি বলেই শুনেছি আমি। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে গ্রামবাসীরা আসিকের কথা না শুনলে, খুব নোংরামো করছে আসিক। এতে করে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে’।