বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। রাজ্যে আট দফার নির্বাচন করার সাথে সাথে নজিরবিহীন ভাবে দুটি পুলিশ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আট দফার ভোট নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ছোট-বড় নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, কেন্দ্রের ইশারায় আর মোদী-শাহকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এভাবে নির্বাচন ফেলা হয়েছে রাজ্যে।
আরেকদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিরোধী থাকার সময় ২০১১ সালে নিজেই ৭ থেকে ৮ দফার ভোট চাওয়া মানুষ এখন ৮ দফা ভোটের বিরোধিতা করছেন কেন?” শমীকবাবু আরও বলেন, ‘বাংলার বিগত ১০ বছরে কোনও উন্নতি হয়নি। আর সেই কারণেই ৮ দফার ভোট। অন্য সব রাজ্যে ১ অথবা দুই দফায় ভোট হয়ে যায়। এরজন্য গোটা দেশে বাঙালীদের মাথা হেঁট হচ্ছে। আর এরজন্য দায়ি একমাত্র তৃণমূল নেত্রী।”
একদিকে যেমন ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে ঝটকা খেলো তৃণমূল। তেমনই নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরের দিন আরও একটি বড়সড় ঝটকা খেলো শাসক দল। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই তৃণমূলের থেকে আস্ত একটি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল গেরুয়া শিবির। আজ নদিয়া জেলার ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এলো।
আজ ভাতজাংলা পঞ্চায়েতের ৬ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান। ছয়জন সদস্যের দলবদলের ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিসংখ্যান পাল্টে যায়। ২৭ আসনের ভাতজাংলা পঞ্চায়েতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ১৪ টি আসন। আর গেরুয়া শিবিরের দখলে গিয়েছিল ৯ টি আসন। আজ তৃণমূলের ৬ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পদ্মফুলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়ে যায় ১৫। আর তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমে হয় ৮।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের হাত ধরে আজ ভাতজাংলা পঞ্চায়েতের ৬ জন তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন।