‘কাটমানি খাওয়ায় সিদ্ধহস্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মী’! ভিডিও শেয়ার করে ‘পর্দাফাঁস’ করলেন শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন থেকে শুরু করে নিয়োগ, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) একাধিক নেতা। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এবার যেমন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এক পঞ্চায়েত প্রধান! নিজের চেয়ারে বসে কাটমানি নিয়ে দরাদরি করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগে তোলপাড়!

বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছেন, সরকারি জলপ্রকল্পের বৈদ্যুতিক ভূ-গর্ভস্থ পাম্প বসাতে ১০ শতাংশ কাটমানির দাবি করেছেন গলসি ১ নং ব্লকের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান ডালিয়া লাহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের চেয়ারে বসে টাকা নিয়ে দরাদরি করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।


ওই ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মী কাটমানি খাওয়ায় সিদ্ধহস্ত। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা বরাবর তথ্য দিয়ে বলে এসেছি যে সরকারি প্রকল্পে তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের কাটমানি না দিলে কোনও কাজ হয় না। এই ভিডিওটি আরো একবার আমাদের কথার সত্যতার প্রমান করল’।

আরও পড়ুনঃ ‘বাংলার মেয়ে’র লন্ডন সফর! বিদেশেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন মমতা? বড় হুঁশিয়ারি কুণালের

শুভেন্দু দাবি করেছেন, সাব মার্সিবল পাম্প বসানোর কাজে ১০ শতাংশ কাটমানির দাবি করেন গলসি ১ নং ব্লকের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান ডলিয়া লাহা। ঠিকাদার তৎক্ষণাৎ ২ শতাংশ কাটমানি দিতে রাজি হয়ে গেলেও সেটা নিতে অস্বীকার করেন তৃণমূল নেত্রী।

TMC Panchayat Pradhan cut money video Suvendu Adhikari

বিজেপি (BJP) বিধায়ক লিখেছেন, ‘তিনি বলেন, মূল কাজের টাকার অঙ্কের হিসেবে (দেড় লক্ষ টাকা) ১০ শতংশ হারে তার টাকা লাগবে, অত কম টাকায় হবে না, অন্যান্যরা তাই দেয়’।

কাটমানি নিয়ে দরাদরির এই ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের প্রত্যেকটি দফতর ঘুঘুর বাসায় রূপান্তরিত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মমতা ব্যানার্জীর রাজত্বে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি দপ্তরই এখন ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে, যেখানে কাটমানি বা ঘুষ না দিলে ঠিকাদারেরা কোনও কাজ পাবেন না। ফলে কাটমানি দিয়েই তাদের কাজ করতে হচ্ছে, আর বরাদ্দ কমে যাওয়ায় কাজের মানও খারাপ হচ্ছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর