বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৭ মার্চ থেকে রাজ্যে নির্বাচন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চার দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যে। ১৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে বাকি চার দফায় ১৫৯টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। আর তাঁর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে আবারও ভাঙন দেখা দিল।
১১ এপ্রিল রবিবার শান্তিপুরে একটি রোড শো করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেদিন রাতেই শান্তিপুরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধীক কর্মী-সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।
রবিবার রাতে নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে বিজেপির একরি অফিসের উদ্বোধনে যান শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সেখানেই ওনার হাত ধরে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়াও বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা ধারা বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়াও শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এদিন বিজেপিতে যোগ দেন।
এই যোগদানের পর শান্তিপুরের বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্র বিরোধী দল। তৃণমূল সরকার গণতন্ত্র মানে না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলোকে ওঁরা চুরি করে নিজেদের নামে চালায়। বিজেপিই একমাত্র প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে। আর এই কারণে সবাই বাংলার প্রকৃত উন্নয়নের খাতিরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।” ভোটের আগে শান্তিপুরে তৃণমূল কংগ্রেসে এই ভাঙন শাসক দলকে বেশ ব্যাকফুটে ফেলবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে।